Faculties and Departments > Departments

যে ১০টি ব্যাপার আপনাকে নিজের অজান্তেই নিয়ে যেতে পারে ডিভোর্সের দিকে

(1/1)

khadija kochi:
আজকাল বিবাহ বিচ্ছেদের হার পৃথিবী জুড়েই বেড়ে চলেছে। এমন নয় যে বিয়ে ভাঙার পর কেউ আনন্দিত হয় বা কারো কষ্ট কম হয়। বরং একটি ডিভোর্স মানে দুটি মানুষেরই পরাজয়, দুজনেরই কষ্ট। দুটি মানুষ যখন নিজেদের দাম্পত্যকে ধরে রাখতে পারেন না, তখনই আসে এই ভাঙন। দিন যাপনের ভিড়ে আমরা বুঝতেও পারি না যে কিছু বিষয় তিল তিল করে আমাদের টেনে নিয়ে যায় ডিভোর্সের দিকে। চলুন, আজ চিনে নিই সেই ১০টি বিষয়কে, যেগুলো অজান্তেই ঠেলে দেয় ডিভোর্সের দিকে।

১) দম্পতিদের মাঝে সবচাইতে বড় দূরত্ব নিয়ে আসে পরস্পরের জন্য সময়ের অভাব। সংসার, সন্তান, পরিবার, অফিস সবকিছু সামলে নিচ্ছে আপনারা। কিন্তু পরস্পরকে সময় কি দিচ্ছেন? এসব দাম্পত্যের অংশ বটে, কিন্তু মূল বিষয় পরস্পরকে একান্ত সময় দেয়া।

২) অর্থের অভাব কিংবা খুব বেশী অর্থ, দুটিই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দাম্পত্যকে ঠেলে দেয় ডিভোর্সের দিকে। এই দুটিই ভালোবাসা নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

৩) এই কথা কেউ স্বীকার করুক বা নাই করুন, দুটি মানুষের দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়ার জন্য পরিবারের অন্যদের নাক গলানোই যথেষ্ট। মা, বাবা, ভাই, বোন অবশ্যই জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারপরেও নিজের দাম্পত্যে তাঁদেরকে কথা বলতে দেয়া একেবারেই অনুচিত। বিশেষ করে পুরুষেরা এই ভুল খুব বেশী করে থাকেন।

৪) দাম্পত্য একটি দুজনের সম্পর্ক, তাই গুরুত্ব দিতে হবে দুজনেরই চাওয়া পাওয়াকে। একলা থাকতে যারা ভালোবাসেন, তাঁদের উচিতই নয় বিয়ে করা। আত্ম কেন্দ্রিক আর স্বার্থপর হয়ে কেবল কষ্টই ডেকে আনে।

৫) সম্পর্কে আন্তরিকতার ভাব খুব সহজেই আপনাকে ডিভোর্সের দিকে ঠেলে দেয়। মানুষ বিয়েই করেন পাশে একজন সঙ্গী পাওয়ার জন্য, ভালোবাসার জন্য।

৬) সন্তান না হওয়া, সময়ের আগে বা পরিবারের চাপে সন্তান নেয়া ইত্যাদি সব কিছুই দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। আবার সন্তানের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে নিজের সঙ্গীকে অবহেলা করাও সম্পর্ক ভাঙার মূল কারণ। বিশেষ করে নারীরা এই ভুলটি খুব করেন।

৭) নেশাদ্রব্যের প্রতি আসক্তি সংসার তো ভাঙতেই পারে। এছাড়াও পরনারী বা পুরুষের প্রতি অতি আগ্রহ, পর্ণগ্রাফি আসক্তি ইত্যাদিও সংসার ভাঙা তথা ডিভোর্সের জন্য দায়ী হয়ে থাকে।

৮) পরস্পরকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করা কোনভাবেই শান্তি আনে না জীবনে। ভালোবাসার জন্য দাম্পত্য, নির্যাতনের জন্য নয়।

৯) পরস্পরের মতের ও আদর্শের অমিল যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতেই থাকে, তাহলে ভাঙন অনিবার্য।

১০) মানুন আর নাই মানুন, বন্ধুরা সংসারে অশান্তি তৈরি তথা ডিভোর্সের জন্য অনেক ভাবেই দায়ী। বন্ধুদের অতিরিক্ত সময় দেয়া, স্বামী বা স্ত্রীর সাথে বন্ধুর পরকীয়া, বন্ধুর ভুল পরামর্শে নিজের সংসারে অশান্তি, প্রতারণা বা ছলনার শিকার হওয়া ইত্যাদি খুব সাধারণ বিষয়। অহরহই ঘটছে।

silmi:
Informative post.

Nayeem Arch:
good one! thanks

SabrinaRahman:
Thanks for sharing..

Navigation

[0] Message Index

Go to full version