স্থলপথে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতির যানের রেকর্ডটি এ বছর ভাঙতে পারছে না ‘দ্য ব্লাডহাউন্ড সুপার-সনিক কার’। কারিগরি ত্রুটির জন্য দশ সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে কর্মসূচী। পরিকল্পনা অনুসারে, দক্ষিণ আফ্রিকার মরুভূমিতে নতুন রেকর্ড গড়ার কথা ছিল। কিন্তু দশ সপ্তাহ পরে গাড়িটি প্রস্তুত হলেও, তখন আফ্রিকায় বর্ষাকাল চলে আসবে। আর তাই এ বছর রেকর্ডটি ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এখন ২০১৬ সালের এপ্রিল বা মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করার নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গাড়িটি সে সময় ঘন্টায় আটশ’ মাইল বেগে চালিয়ে, বর্তমানের ঘন্টায় সাতশ’ ৬৩ মাইল গতিবেগের রেকর্ডটি ভাঙার চেষ্টা করা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেশ সাবলীল ভাবেই চলছিল ব্লাডহাইন্ডের নির্মাণ কাজ। হঠাৎ করেই গাড়িটির রকেট ও ইউরোফাইট জেট ইঞ্জিনের সংযোগে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ে। এটি ছাড়া গাড়ির কাংখিত গতিবেগ তোলা সম্ভব নয়। আরও শক্তিশালী রকেট ও বেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ত্রুটিটি খুব সহজেই সমাধান করা যেত। কিন্তু নরওয়েভিত্তিক রকেট মটর প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ন্যামো’র গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে ত্রুটিটি এ মূহূর্তে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।
ব্লাডহাইন্ডের প্রধান প্রকৌশলী মার্ক চ্যাপম্যান নির্ধারিত সময়ের তুলনায় পিছিয়ে যাওয়াতে হতাশ হলেও, সিদ্ধান্তটিকে সঠিক বলে মনে করছেন। চ্যাপম্যান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে মূল লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবার চেয়ে সময় পেছানোটাই ভালো মনে করছেন তিনি।
ব্লাডহাউন্ডের মৌলিক নির্মাণ কাজগুলো আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। সেটি সম্পন্ন হলেই যুক্তরাজ্যের রানওয়েতে গাড়িটি ‘ধীর-গতি’-তে চালিয়ে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।