মূত্রনালীতে সংক্রমণ নারীদের মধ্যে সচরাচর দেখা যায়। সংক্রমণ রোধ করার উপায় রয়েছে। এটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি, ডায়েট, পরিচ্ছদ এবং কার্যকর্ম। এ পদ্ধতি পালন করলে প্রাকৃতিক প্রতিরোধক উপায়গুলো কার্যকর হতে পারে, সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।
স্বাস্থ্যবিধি : বাথরুমকর্ম শেষে গোপনাঙ্গ পরিচ্ছন্ন করতে হবে সামনে থেকে পেছনদিকে। আমরা যদি পেছন দিক থেকে পরিচ্ছন্ন করা শুরু করি তাহলে মলাশয়ের জীবাণু হাতে বা টিস্যুতে স্থানান্তরিত হবে, পরবর্তীতে মূত্রনালীর সংক্রমণ হয়। দু’বার পরিষ্কার করা ভালো অভ্যাস, একই টিস্যু আবার ব্যবহার যথাযথ নয়। মোছার গতিও হতে হবে মৃদু। মনে করা হয় দীর্ঘসময় গোসল বেশ ভালো, তা ঠিক নয়। বাথটাব নয় শাওয়ার নেয়া ভালো। নিজের ত্বক ফ্লোর থেকে সংক্রমণ হয়, বাথটাবে বেশি সময় অবগাহন করলে। বেশি সময়ে বাথটাবে বসে থাকলে মুত্রাশয় পথে সংক্রমণ ত্বরান্বিত হয়। প্রস্রাবের তাগিদ এলে ধরে রাখা ঠিক না। প্রতি চার ঘণ্টায় একবার জাগ্রত অবস্থায় প্রস্রাব করা ভালো।
ডায়েট : পানি যথেষ্ট পান করলে মূত্রনালী সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। প্রতি আহারের সময় দু’গ্লাস পানি পান করা শুরু হোক। প্রস্রাব যদি স্বাভাবিক রঙের চেয়ে গাঢ় হয়, স্বাভাবিক বর্ণ হলো হালকা হলুদ, তাহলে বোঝা যায় প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করা হচ্ছে না। পানি ছাড়া একে ঠেকাতে ক্রানবেরি জুসও পান করা যেতে পারে।
পোশাক পরিচ্ছদ : খুব আটসাট অর্ন্তবাস পরা ভালো নয়। সূতি হলে ভালো। এর ফলে আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। আর্দ্রতা থাকলে ত্বক নরম হয়ে যায়, ভিজে যায়, জীবাণু তৈরি হয়। নারীদের জন্য সূতি অন্তর্বাস প্রয়োজন।
কাজকর্ম : যদি খেলাধূলা করেন বা যেকোনোও রকম শরীরচর্চা করেন তাহলে বারবার প্রস্রাব করা প্রয়োজন হয়। প্রচুর পানি পান করবেন, অন্য কোনো তরলও পান করতে পারেন।
স্বামী-স্ত্রী মিলনের পরও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তা না হলে মূত্রনালী সংক্রমণের আশংকা থাকে। মূত্রথলিতে জীবাণু প্রবেশের আশংকা থাকে তাই এর পর মূত্রথলি খালি করা বিধেয়। এ সময় দু’গ্লাস পানি পান করা উচিত। চিকিৎসক পরামর্শ দিলে ইউরিনারি এন্টিসেপ্টিক ব্যবহার করতে হয়।
অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার মতোই নারীদের ক্ষেত্রে মূত্রনালী সংক্রমণ প্রসঙ্গে নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়।