নগরায়ণ বলতে তো শুধু হাউজিং নয়, নগরায়ণ বলতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, মানুষের হাঁটার জায়গা, লেক থেকে শুরম্ন করে সবই আসলে নগরায়ণের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে ভাবতে হবে আমাদের জমির পরিমাণ কম। আমি যদি ভারতের মতো ভাবি, আমি যদি আমেরিকার নগরায়ণের মতো ভাবি তবে হবে না। আমাকে ভাবতে হবে হংকংয়ের মতো করে। আমি ঠিক সিঙ্গাপুরের মতো করেও যদি ভাবি তাহলেও হবে না। ওদের অনেক জমি ছাড়ার স্কোপ আছে। তার পর তারা পরিবেশবান্ধব গৃহ নির্মাণ করে। জনগণকে রাস্তায় সুন্দরভাবে চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সে রাস্ত্মায় হাঁটার সময় ছিনতাইকারী তাকে ধরবে না। ফুটপাথে চলার সময় রাস্ত্মার গাড়ি এসে তাকে আহত করবে না বা রাস্তার ধুলা তাকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ফেলে দেবে না। শিক্ষার্থী হেঁটে স্কুলে যাবে এবং আসবে, তাকে কেউ সমস্যায় ফেলবে না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। যে কোনো শিক্ষার্থী কিংবা তার পরিবারকে এমন নিশ্চয়তা তো সরকারকেই দিতে হবে। এটা তো খুব বেশি চাওয়া না সরকারের কাছে। একজন সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে এমনটি আশা করতেই পারে। আমরা আশা করতে পারি, আমাদের জন্য থাকবে একটি নিরাপদ ঢাকা শহর।