বরফ মিশ্রিত মাঠা
এটি রোজায় অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় যা গরমের মাঝে শুধুমাত্র আপনার তৃষ্ণাই পূরণ করবে না সেই সাথে শরীরের জন্য খুব উপকারী। দইয়ের সাথে এক চিমটি লবন, কিছু শুকনো বা তাজা পুদিনা পাতা, সামান্য মধু ও তার সাথে চাইলে স্ট্রবেরি বা যেকোনো বেরী ফল বরফ দিয়ে ব্লেন্ড করে ইফতারের সময় পান করুন।
দইয়ের লাচ্ছি
এটি উচ্চ প্রবায়োটিক (ভালো ব্যাকটেরিয়া), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এটি শরীরকে পানিশূন্যতা ও গরমের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এক কাপ দই, এক কাপ পানি, সামান্য জিরা, সামান্য আদা কুচি করে কেটে এবং এক চিমটি লবন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পান করুন।
লেবু ও পুদিনা পাতার জুস
রোজার মাসে গরমের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটি খুব ভালো পানীয়। এক গ্লাস পানিতে কিছু পুদিনা পাতা ও লেবুর টুকরো নিয়ে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
টক পানীয়
যদিও একটু কটু স্বাদযুক্ত কিন্তু এটা উচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খুবই স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। এই পানীয়টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুনের জন্য এটি খেলে গরমে র্যা শ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাঁচা যায়। এক গ্লাস পানিতে কিছু শশার স্লাইস, কমলার স্লাইস এবং সামান্য পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি করতে হবে এটা।
গোলাপের পানীয়
পানিতে কিছু জাফরান ও গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রেখে ফুটিয়ে নিয়ে ৭/৮ ঘণ্টা বা সারারাত রেখে দিতে হবে। তারপর তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। এটা গরমকালের সবচেয়ে ভালো পানীয়।
শসা ও বাঙ্গির জুস
শসা ও বাঙ্গি নিয়ে এক সাথে ব্লেন্ড করে তাতে আধা চা চামচ মধু ও সামান্য লবন যোগ করুন। চাইলে সামান্য জিরা ও পুদিনা পাতাও দিতে পারেন। এই পানীয়টি দেহকে শীতল করার সাথে সাথে ঘামের পরিমান কমাবে।
কমলার জুস
কমলার রস বের করে সামান্য লবন যোগ করে ঠাণ্ডা করে খেতে হবে। এই পানীয়তে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইট গরমে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এবং পানি শূন্যতার হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
নন ফ্যাট বা ননীমুক্ত দুধ
এই পানীয় টি উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরিযুক্ত। গরমের সময় এই পানীয়টি তৃষ্ণা মিটিয়ে আপনার ক্ষুধাও মেটাতে সাহায্য করে।প্রচণ্ড গরমের তাপ থেকে মুক্তি পেতে ঠাণ্ডা ননীমুক্ত দুধ পান করতে পারেন। গরমের সময়ের এই কার্যকরী পানীয়টি রোজায় ইফতারে পান করলে দেহের পানিশূন্যতা পূরণ হয়।
তরমুজের জুস
তরমুজ ব্লেন্ড করে তাতে ২ চা চামচ লেবুর রস এবং এক চিমটি লবন দিয়ে তৈরি করুন জুস। এই পানীয়টি গরমে দেহের জন্য যেসব অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পদার্থের প্রয়োজন হয় তা সরবরাহ করে। দেহের পানি শূন্যতা দূর করার ক্ষেত্রে উত্তম একটি পানীয় হচ্ছে তরমুজের জুস।
গ্রীন টি
গরমকালে যদি চা খাওয়া হয় তখন তা দেহকে পানিশূন্য করে দেয় এতে থাকা ক্যাফেইনের কারনে। কিন্তু সবুজ চা হচ্ছে এর ব্যাতিক্রম।তাই সামান্য লেবু দিয়ে সবুজ চা যেকোনো সময় খাওয়া যায়। ঠাণ্ডা খেতে চাইলে এতে কিছু বরফ যোগ করতে পারেন।
লেখিকা
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)