বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে সহজলভ্য এই সাধারণ খাবারগুলো!
ক্লিনিক্যাল রিসার্চার এবং ‘পাওয়ার ফুডস ফর ব্রেইন’ এর লেখক নীল বারনার্ড বলেন, ‘আমাদের মস্তিষ্কের সার্কিটগুলো খুবই নমনীয় যা খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয় ঘুমের সমস্যা, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং পরিমিত পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে’। স্মৃতিশক্তি কম হওয়ার জন্য দায়ী সকল অস্বাস্থ্যকর কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সঠিক খাবার না খাওয়া। তাই নিজের বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে চাইলে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন পুষ্টিকর কিছু খাবার। খুবই সহজলভ্য সাধারণ কিছু খাবার যোগ করতে পারলেই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। আর সেই সাথে বাড়িয়ে নিতে পারবেন বুদ্ধিও।
১) বাদাম
অনেকেই সকালের নাস্তার পর কিংবা বিকালের নাস্তার সময় ক্ষুধা পেলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকেই হাত বাড়ান। কিন্তু ক্ষতিকর অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস না খেয়ে তার পরিবর্তে ১ মুঠো বাদাম খেয়ে নিন। বাদামের ভিটামিন ই ও ফ্যাট মস্তিষ্কের সুরক্ষা করে এবং চিন্তা করার ক্ষমতা, বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়।
২) কফি
অনেকেই ভাবেন কফি পান করার অভ্যাস স্বাস্থ্য হানিকারক। হ্যাঁ, যদি আপনি দিনে ৩/৪ কাপ কফি এবং দুধ চিনিতে ভরপুর পান করেন তাহলে তা অবশ্যই ক্ষতিকর। কিন্তু দিনে ১ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করার অভ্যাস আপনার মস্তিষ্কের জন্য অনেক ভালো একটি খাবার।
৩) চকলেট
কফি সম্পর্কে যেরূপ ধারণা চকলেট সম্পর্কেও অনেকে একই ধরণের চিন্তা করে থাকেন। কিন্তু চকলেটে রয়েছে ব্রেইন বুস্টিং কম্পাউন্ডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা মস্তিষ্কের জন্য অনেক ভালো। তবে আপনাকে এক্ষেত্রে অবশ্যই বেঁছে নিতে হবে ৬০-৭০% ডার্ক চকলেট।
৪) রসুন
অবাক হলেও এটি সত্যি যে রসুন আপনার বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে বিশেষভাবে সহায়ক। তাজা কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং এর প্রটেক্টিভ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
৫) ডিম
ডিমের প্রোটিন দীর্ঘসময় দহরে মস্তিষ্কে এনার্জি সরবরাহ করে। ডিমের সেলেনিয়াম মানসিক উৎফুল্লতা নিশ্চিত করে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এতে সঠিক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে এবং অযথা দুশ্চিন্তা দূর হয়।
৬) সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, বাঁধাকপি, পাতাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি সবুজ শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করতে বিশেষভাবে কার্যকর। এতে মস্তিষ্ক থাকে সচল। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবার রাখলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়।