Entertainment & Discussions > Life Style

চিনে নিন খাঁটি ইলিশ

(1/1)

irin parvin:
জানেন কি যে ইলিশ মাছ যত সুস্বাদু, ততটাই পুষ্টিকর৷ কারণ তার নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ গুণ। মাছ খেতে অল্প বিস্তর সব বাঙালিই ভালোবাসে। আর ইলিশ মাছ হলে তো কথাই নেই। দুপুরের খাবার টেবিলে যদি পাতে ইলিশ পড়ে তাহলে, আর অন্য কোনও পদের আর দরকার পড়বেই না। ইলিশের তেল দিয়েই তো অর্ধেক ভাত খাওয়া হয়ে যাবে৷ তবে ইলিশ মাছ কিন্ত্ত স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি তার পুষ্টি গুণও কিন্ত্ত কম কিছু নয়৷ তবে কী ধরনের ইলিশ খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে, যে সেই ইলিশ থেকে আপনি কতটা পুষ্টি পাচ্ছেন৷ আমরা সাধারণত দুই ধরনের ইলিশ খেয়ে থাকি৷ এক মিষ্টি পানির ইলিশ৷ অন্যটা হলো সমুদ্রের ইলিশ৷ মাথায় রাখবেন এদের মধ্যে পুষ্টিকর ইলিশ কিন্ত্ত একমাত্র মিষ্টি পানির ইলিশ। সামুদ্রিক ইলিশ কিন্ত্ত ততটা পুষ্টিকর নয়৷ এবার ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণগুলি একে একে জেনে নিন৷ আমরা জানি ইলিশ মাছে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি৷ সেটা সত্যি৷ তবে সেগুলি হলো ভালো ফ্যাট৷

অর্থাত্‍ ইলিশ মাছে পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণই বেশি৷ ভালো ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য সবসময়েই উপকারী৷ তবে এটাও মাথায় রাখবেন যে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছই কিন্ত্ত আসলে সবচেয়ে পুষ্টিকর৷ মোটামুটি সাতশো থেকে এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছের মধ্যেই একমাত্র পলি ও মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়৷ তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ মাছ হলেই জানবেন সেটিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি৷ সেটা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর৷ আবার আমরা অনেকেই তার কম ওজনের ইলিশ মাছও খাই৷ খোকা ইলিশও কিন্ত্ত ততটা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নয়৷ বিশেষ করে এই মাছে একেবারেই প্রোটিন নেই৷

তাই মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ খান৷ কারণ এই মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, এবং জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ৷ ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে রয়েছে ২২.৩ শতাংশ প্রোটিন৷ জিঙ্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুব ভালো৷ সেলেনিয়াম আবার অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে৷ এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রনের পুষ্টিগুণও৷ ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছের তেল হার্টের জন্যও খুব ভালো৷ যাদের হাইপার কলেস্টরল আছে, তারাও ইলিশ মাছ খান৷ কারণ তা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমিয়ে দেয়৷ এলডিএল বেড়ে গেলে কিন্ত্ত হার্ট ব্লকের সমস্যা হতে পারে৷ ইলিশ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই৷ বিশেষ করে ভিটামিন ডি কিন্ত্ত খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়৷ অস্টিওপোরোসিসের জন্যও ইলিশ মাছ খুব ভালো৷ ইলিশ মাছে আরজিনিন থাকায় তা ডিপ্রেশনের জন্যও খুব ভালো৷ তাছাড়া ইলিশ মাছ ক্যান্সার প্রতিরোধক৷ হাঁপানি-র উপশমেও উপকারী৷ আবার সর্দি কাশির জন্যও ভালো৷ তবে ইলিশ মাছ আরা বছর নয়, শুধু ইলিশের মরশুমেই খান৷ যদি রোজ ইলিশ খেতে চান, তাহলে হালকা ইলিশের ঝোল খান৷ খুব কড়া করে ভাজা ইলিশ মাছ না খাওয়াই ভালো৷ তাছাড়া রোজ যদি সর্ষে বাটা দিয়ে কষে ইলিশ রান্না খান, তা হলে তা শরীরের পক্ষে খারাপ তো বটেই৷ জেনে রাখুন ইলিশ ডিম দেওয়ার আগেই কিন্ত্ত ভালো খেতে৷ মজার কথা হলো ইলিশ মাছ যত জলে সাঁতার কাটে তত তার শরীর টোনড হয়ে ওঠে৷ আর তত ইলিশ মাছ সুস্বাদু হয়৷ জানবেন যে ইলিশ মাছের যত স্বাদ সেই ইলিশ তত পুষ্টিকর৷

Source: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle

asitrony:
Interesting!

Nazmul Hasan:
New things to learn... Thanks for sharing.  :)

sisyphus:
জানতাম না। জানার দরকার ছিল, জানা হলো। ধন্যবাদ  :D

afrin.ns:
Thanks for sharing

Navigation

[0] Message Index

Go to full version