Entertainment & Discussions > Life Style

ভ্রমণে অসুস্থতা এড়াতে

(1/1)

irin parvin:
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কানের ভেতরের অংশে থাকা ‘ভেস্টিবুলার সিস্টেম’ নামক এক ধরনের ফ্লুইড ‘মোশন সিকনেস’ বা ভ্রমণ অসুস্থতার কারণ। যানবাহনে থাকাবস্থায় মাথার নড়াচড়ার কারণে এই ফ্লুইডও নড়তে থাকে, যা মস্তিষ্কে এই নড়াচড়ার সংকেত পাঠায়।

এই নড়াচড়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে বমি হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, ঘাম হওয়া, অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি। কারও ক্ষেত্রে আবার মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি এবং মাথা ব্যথার লক্ষণও চোখে পড়ে। শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্যে পরিবর্তন এসেছে এমন মনে হলে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

এই অসুস্থতার সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি উপায়।

- পেট অতিরিক্ত ভরা অনুভব হয় এমন কিছু ভ্রমনের আগে খাওয়া উচিৎ নয়। ঝালজাতীয় এবং ভারি খাবার খেলেও সমস্যা বেড়ে যায় অনেকের। অল্প দূরত্বের ভ্রমণের না খেয়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। আর দূরপাল্লার যাত্রায় অল্প পরিমাণে খাবার ও পানীয় খাওয়া উচিৎ।

- যাত্রার আগে কড়া সুগন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এধরনের খাবার খেলে বমিভাব হতে পারে। লোভনীয় গন্ধযুক্ত তৈলাক্ত খাবারের চাইতে ক্র্যাকার্স, শুকনা টোস্ট ইত্যাদি খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

- যাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি হয় তাদের যানবাহন যেদিকে চলছে সেটার উল্টা মুখ করে বসা উচিৎ নয়।

- গাড়ির পেছনের সিটের পরিবর্তে সামনে সিটে বসার চেষ্টা করুন। গাড়ির বাইরের পরিবেশের উপর চোখ রাখতে পারলে কানের ভেতরের অংশ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বর রাখা সহজ হবে।

- চলন্ত গাড়িতে বসে শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে দিগন্তের দিকে চোখ রাখতে পারেন। আশপাশের চলন্ত বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকলে শারীরিক ভারসাম্যে গড়বড় হতে পারে।

- চলন্ত গাড়িতে বসে বই না পড়াই উত্তম। দিক নির্দেশনার প্রয়োজন থাকলে মানচিত্র বা গাড়ির জিপিএস না দেখে ‘ভয়েস কমান্ড’ ব্যবহার করা উচিৎ।

- সম্ভব হলে গাড়ির জানালা খুলে বাইরের সতেজ বাতাস গায়ে লাগার সুযোগ দিন। এতে ভ্রমণের অস্বস্তি কিছুটা কমবে। বিমান বা ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে সিটের উপরের ‘এয়ার ভেন্ট’ ফুল স্পিডে চালু করে রাখতে পারেন। নৌকা বা জাহাজে সফরকালে যতটা সম্ভব ডেকের বাইরে থাকার চেষ্টা করুন।

- ভ্রমণে অসুস্থতা আছে এমন যাত্রীদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ভ্রমণে অসুস্থতা নিয়ে আলোচনা করলে বা শুনলে এবং অন্যদের অসুস্থ হতে দেখলেও আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

- গাড়ির গতি কম অনুভূত হয় এমন স্থানে বসার চেষ্টা করুন। বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের মাঝামাঝি বসাই ভালো। পানি পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জাহাজ বা লঞ্চের নিচের কেবিনগুলোতে থাকলে উপকার পেতে পারেন।

- সফরকালে চোখ বন্ধ করে থাকলে কিংবা ঘুমালে বমিভাব কমে।

- যাত্রা শুরুর আগে মাথা ঝিমঝিম করা বা বমির ওষুধ খেলে উপকার পেতে পারেন। ভেষজ চিকিৎসায় বিশ্বাসী হলে যাত্রা শুরুর আগে আদা খেতে পারেন।


Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1002674.bdnews

mahmudul_ns:
Necessary to all travelers like me, though I haven't fall yet any problem similar to this.For precautions it is significant.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version