শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। যখন সকালে ঢাকার এক প্রান্তে গেলেই বিকেলে ফিরে আসা দুস্কর সেখানে সেখানে নিউইয়র্ক থেকে একদিনেই ফিরে আসা! এমন অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছেন বিমান নির্মাতারা। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। এবার শব্দের গতির চেয়ে সাড়ে চারগুণ বেশি গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক জেট বানাচ্ছেন বিমান নির্মাতারা। এই বিমানে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যাবে মাত্র এক ঘণ্টায়। টোকিও থেকে লস এঞ্জেলস যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। অর্থাত ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে যেতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগবে। খবর আমাদের সময়.কম'র।
যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস সম্প্রতি এই নতুন জেট তৈরির উদ্যোগে অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমান সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপারসনিক মার্চ টু কনকর্ড’র চেয়েও প্রায় সাড়ে তিনগুন বেশি গতি হবে এই হাইপারসনিক জেট বিমানের। এর মূল কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হবে দুই দিকে গোথিক ডেল্টা পাখা আর প্রোপেলর।
0তিনটি ভিন্ন ধরনের হাইড্রোজেনচালিত ইঞ্জিন এই উড়োজাহাজে একসঙ্গে কাজ করবে। যা এটিকে ঘণ্টায় উড়িয়ে নিয়ে যাবে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার। দুটি টার্বো জেট এই এয়ারক্র্যাফটকে সোজা উপরের দিকে তুলে নিয়ে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে সেটি পেয়ে যাবে শব্দের গতি। একটি রকেট মোটর যোগ হবে যা তুলে নিয়ে যাবে এক লক্ষ ফুট উচ্চতায়।
সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারবে এই এয়ারবাস। খুব প্রয়োজনে এই হাইপারসনিক জেটে চেপে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে গিয়েও কাজ শেষ করে দিনে দিনে ঘরে ফিরতে পারবেন। এই হাইপারসনিক জেট সামরিক কাজেও ব্যবহার করা যাবে। দ্রুত গতিতে কোথাও সৈন্য পৌঁছানো প্রয়োজন হলে এর ব্যবহার সহজ হবে।
২০২৩ সালের মধ্যে এই হাইপারসনিজ জেট চলাচল শুরু করবে জানালেন উদ্যোক্তারা। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে মূল প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির যাত্রীবাহী বিমান ‘কনকর্ড’ বানিজ্যিক ভাবে লাভবান না হওয়ায় এর চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বহু আগেই। তখন বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, যুগের চেয়ে আধুনিক হওয়ায় তা বেশিদিন চালানো যায়নি। তবে ২০২৩ সালে হয়তো পৃথিবীর মানুষ আরেকটু আধুনিক হবে। হয়তো সুপারসনিক বিমানের সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।http://www.monitor-bd.net/newsdetail/detail/200/144611