সূর্যমুখী ফুল নিজের পরিচয় সবার কাছে তুলে ধরে তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ করার মাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফুলের বানিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় রাশিয়া, ইউক্রেন এবং আর্জেন্টিনায়। এটি শুধু ফুল নয় মানবদেহের উপকারী তেল সরবরাহকারী মাধ্যম বটে। বাজারে পাওয়া অন্যান্য সাধারণ তেলের তুলনায় এতে আছে উপকারী নানা গুণ। আজ জেনে নেয়া যাক সূর্যমুখী তেলের উপকারী গুণ সম্পর্কে।
১/ প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় সূর্যমুখী বীজের তেল আমাদের দুর্বলতা কাটাতে কার্যকরী। আমাদের দেহের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও সূর্যমুখীর ভূমিকা অনন্য।
২/ জটিল ব্যাধি ক্যানসার প্রতিরোধ করতে খুবই পারদর্শী সূর্যমুখীর তেলে থাকা সেলেনিয়াম উপাদান। এই উপাদান ক্যানসারের জীবানুর একমাত্র শত্রু।
৩/ সূর্যমুখী বীজ আমাদের দেহের হাড় সুস্থ রাখে ও মজবুত করে। আমাদের দেহে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার এর চাহিদা পূরণ করে সূর্যমুখী তেল।
৪/ এই বীজে আছে ভিটামিন-ই যা আমাদের দেহের নানা রকম ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
৫/ সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম উপাদান আমাদের মানসিক চাপ দূর করে। মাইগ্রেনের সমস্যা এবং আমাদের মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান।
৬/ সূর্যমুখী বীজের তেলে বিদ্যমান ভিটামিন-ই আমাদের ত্বককে রক্ষা করে সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি থেকে। ত্বকের অযথা বুড়িয়ে যাওয়া এবং ক্ষয় রোধে এই তেল খুবই উপকারী।
৭/ সূর্যমুখী বীজ আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দারুণভাবে কার্যকরী করে তোলে।
৮/ হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, দেহের চামড়ায় জ্বালা-পোড়া, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ সারিয়ে তুলতে সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী।
৯/ এই বীজ আমাদের দেহের ক্ষতিকারক কলেস্টরোল দূর করে আমাদের হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে।
১০/ আপনার দেহের বাড়তি ওজন কমাতে সূর্যমুখীর তেলের তুলনা হয় না। তাই প্রতিদিন খাবার প্রস্তুতে সূর্যমুখীর তেলের পাশাপাশি এর বীজ বাদামের মতো করে ভেজেও খেতে পারেন।