থ্রিডি প্রিন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। এরি মধ্যে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট হয়েছে অনেক কিছুই। এবার থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে আস্ত গাড়ি তৈরি করা হলো। এটি একটি সুপার কার। নাম ‘ব্লেড’। এই প্রোটোটাইপ গাড়িটি তৈরি করেছে ক্যালির্ফোনিয়ার গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ডাইভারজেন্ট মাইক্রোফ্যাক্টরিজ।
গাড়িটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি হলেন কেভিন সিজনার। যিনি দীর্ঘদিন ধরে অটোমোবাইল শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কেভিন জানান, বর্তমানে গাড়ি উৎপাদনের জন্য যে প্রযু্ক্তি ব্যবহৃত হয় তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কেননা, গাড়ি উৎপাদনের জন্য প্রচুর পরিমানে কার্বন নিঃসরণ হয়। তাই সনাতনী গাড়ি উৎপাদনের পদ্ধতি থেকে বেড়িয়ে আসার পথ খুঁজতে তিনি থ্রিডি প্রিন্টার গাড়ির তৈরি করেছেন।
Picture : The First 3D-Printed Supercar ,Picture Source: তথ্য প্রযুক্তি (
http://www.taza-khobor.com/)
কেভিন রয়টার্সকে জানান, গাড়ি উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়া বদলে দিতে পারে ধাতব পদার্থের থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি। তবে থ্রিডি প্রিন্টারে পুরো গাড়ি এক সঙ্গে তৈরি করা সম্ভব নয়। তবে নির্দিষ্ট মডিলার কাঠামো তৈরি করে তা একে একে জুড়ে দিয়ে পুরো গাড়ির কাঠামো তৈরি করতে হয়।
ডাইভারজেন্ট মাইক্রোফ্যাক্টরিজের প্রধান প্রকৌশলী ব্র্যাড ব্লেজার বলেন, ‘থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি গাড়িটির চেসিসের ওজন মাত্র ১০২ পাউন্ড। স্টিলের চেসিসের মতই এটি শক্তিশালী এবং নিরাপদ। অন্যদিকে থ্রিডি প্রিন্টারে উৎপাদিত গাড়ি পরিবেশ বান্ধব।’
গাড়িটি তৈরি করতে স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে কার্বন ফাইবার ব্যবহার করা হয়েছে। কার্বন ফাইবার হালকা এবং স্টিলের চেয়েও মজবুত। পুরো গাড়ির ওজন ৬৩৫ কেজি। ব্লেড নামের এই গাড়িটিতে ৭০০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনে পেট্রেলের পাশাপাশি গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
You Tube Link :
https://www.youtube.com/watch?v=o8wFs1aipaE&feature=youtu.beSource: তথ্য প্রযুক্তি (
http://www.taza-khobor.com/)