নির্ভুল জীবনবৃত্তান্ত লেখার ছয় পরামর্শ !

Author Topic: নির্ভুল জীবনবৃত্তান্ত লেখার ছয় পরামর্শ !  (Read 1284 times)

Offline Lazminur Alam

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 337
  • Test
    • View Profile
চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে হাজারো সিভি জমা পড়ে। বহু প্রতিষ্ঠান ই-মেইলে সিভি আহ্বান করছে। এসব ই-মেইলের ভিড়ে আপনার সিভিটি যাতে কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে, তা নিশ্চিত করা জরুরি। কখনো কম্পিউটারের স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমেই প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন হয়। তাই ই-মেইলটি পাঠানোর আগে সতর্ক হোন। কারণ, ছোটখাটো ভুলের কারণেও আপনার সিভিটি বাদ পড়তে পারে। এসব ভুল এড়ানোর জন্য ছয়টি পরামর্শ অনুসরণ করতে পারেন:

প্রাসঙ্গিক শব্দচয়ন:
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট পদের বর্ণনায় যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো আপনার সিভিতেও রাখতে হবে। তাহলে কম্পিউটার সেগুলো চিনতে পারবে এবং আপনার সিভিটি আগে বাছাই করে নেবে। আর বাছাইয়ের কাজটি ব্যক্তি মানুষ করলেও উপযুক্ত শব্দচয়নের কারণে একই সুবিধা পাবেন আপনি। ফলে লিখিত পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার বা ইন্টারভিউতে আপনার আমন্ত্রণ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

পরিচয়ের সুবিধা:

যেখানে আবেদন করছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আগে থেকে আপনার যোগাযোগ থাকলে, সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে আপনার সিভিটি নিশ্চিতভাবে কর্তৃপক্ষের নজরে পড়বে। মানবসম্পদ বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কারও ই-মেইল ঠিকানায় সিভির একটি কপি পাঠিয়ে ইন্টারভিউর সুযোগ চেয়ে তাঁকে অনুরোধ করে লিখতে পারেন। অথবা অন্য কোনো বিভাগে আপনার পরিচিত কেউ থাকলে তাঁকে জানিয়ে রাখুন, আপনি ওই প্রতিষ্ঠানে যে পদের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি যদি আপনাকে একজন প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করে সিভিটি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেন অথবা জানিয়ে দিতে পারেন, আপনার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।

সংক্ষেপে লিখুন:

অযথা দীর্ঘ না করে যতটুকু সম্ভব সংক্ষেপে নিজের সিভি তৈরি করুন। অবশ্যই সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন। সিভিতে গ্রাফিকস, লোগো ও অন্যান্য অলংকরণ না করাই ভালো। কারণ, এসবের কারণে যান্ত্রিক ব্যবস্থায় আপনার সিভিটি কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।

উদ্যোগী প্রয়াস:

চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে উদ্যোক্তাসুলভ চেষ্টা থাকা জরুরি। কারণ, এইচআরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বা তদবিরও অনেক সময় বিফল হতে পারে। বরং নিজের বাড়তি যোগ্যতা ও আকর্ষণীয় দিকগুলো লিখে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কারও বরাবর চিঠি বা ই-মেইল পাঠিয়ে এবং অনুমতি নিয়ে ফোন করে যোগাযোগ করে সুফল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া এইচআরকে এ ব্যাপারে বারবার বিরক্ত করাটা নিশ্চয়ই ইতিবাচক কিছু নয়।

কাউকে দেখিয়ে নিন:

সিভি পাঠানোর আগে অন্য কাউকে দেখিয়ে নিলে ভুলভ্রান্তি এড়ানো যায়। ছোটখাটো ভুলগুলো অনেক সময় নিজের নজর এড়িয়ে যায়, কিন্তু দ্বিতীয় কারও চোখে সেটা নিশ্চয়ই পড়বে। তাই পর্যালোচনার জন্য কমপক্ষে একজনকে পড়ানোর পরই সিভিটি পাঠানোর জন্য চূড়ান্ত করতে হবে।

নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা:

বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কাঙ্ক্ষিত কর্মীর মধ্যে সৃজনশীলতা দেখতে চায়। তাই সিভি পাঠানোর আগে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। এতে আপনি সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে সিভি তৈরি করতে পারবেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল এড়ানোও সম্ভব হবে। যেকোনো নিয়োগদাতা প্রথমেই আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা জানতে চাইবে। তাই এসব তথ্য আপনার সিভিতে যেন সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় থাকে।
MD.LAZMINUR ALAM
|| BA (Hons) in English || || MBA in Marketing ||

Senior Student Counselor
Daffodil International University
Cell: 01713493051
E-mail: lazminur@daffodilvarsity.edu.bd
            lazminurat@yahoo.com
Web: www.daffodilvarsity.edu.bd

Offline Tofazzal.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 314
  • Test
    • View Profile
Muhammad Tofazzal Hosain
Lecturer, Natural Sciences
Daffodil International University