যে অদ্ভুত কারণে ৫ টি সংখ্যাকে ধরা হয় ভীষণ অপয়া!

Author Topic: যে অদ্ভুত কারণে ৫ টি সংখ্যাকে ধরা হয় ভীষণ অপয়া!  (Read 1538 times)

Offline Nahian Fyrose Fahim

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 322
  • Test
    • View Profile
ভাতকে আমরা ভাত বলি, গাছকে গাছ, মাটিকে মাটি- এসব কিছুর আলাদা আলাদা নাম আর পরিচয়ের কারণটা কিন্তু মানুষ। কারণ মানুষই তেরি করেছে বিভিন্ন জিনিসের এমন বাহারী নাম। যখন যেটা মাথায় এসেছে, পছন্দ হয়েছে, যুতসই লেগেছে, সেটাকেই স্থান, বস্তু কিংবা বাকীসবের নামে পরিণত করেছে মানুষ। ঠিক তেমনি কিছু সংখ্যা রয়েছে যেগুলোর কোনরকম বাড়তি অর্থ থাকুক বা না থাকুক, নিজেদের ভাবনায় আর ব্যবহারে সেগুলো অপয়া করে তুলেছে তারা। আর এমন পাঁচ অপয়া সংখ্যা নিয়েই আজ আমাদের এই ফিচার।

১. ৩৯ (ঊনচল্লিশ)
আপনার মোবাইলের ভেতরে কি ৩৯ শব্দটি আছে? কিংবা আপনার গাড়ি বা ব্যবহার্য কোন জিনিসে? তাহলে অবশ্যই সেগুলোকে লুকিয়ে ফেলুন। বিশেষ করে আফগানিস্থানে। শুনলে অবাক হবেন যে দেশটিতে ৩৯ সংখ্যাটিকে নিয়ে প্রচন্ড রকমের দূর্বলতা আছে মানুষের। নিজেদের ব্যবহার্য কোন কিছুতেই ৩৯ দেখতে পারেন না তারা। অভিশাপ মানে এটাকে। ধারণা করা হয় কোন একসময় কিছু ব্যাভিচারী ৩৯ নেমপ্লেটের গাড়ি চালাতো আর ৩৯ নম্বর বাড়িতে থাকতো। সেই থেকেই এই অবস্থা। অনেকে আবার পরিমাপের পুরোনো এক নিয়ম অ্যবজাডের প্রতি ঘৃনার কারণেও এড়িয়ে চলেন এই সংখ্যাটিকে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ১৭,০০০ ডলারের একটা গাড়িও ৭,০০০ টাকায় বেঁচে দেওয়া সম্ভব হয় এখানে যদি কেবল এর পেছনে লাগানো থাকে ৩৯ শব্দটি। শুধু তাই নয়, ৩৯ সংখ্যাটিকে এতটাই ঘৃণা করে মানুষ এখানে যে নিজেদের য়স ৩৯ হরেও সেটাকে লুকিয়ে ফেলে তারা কিংবা ৪০ বলে জানায়।

২. ০৮৮৮ ৮৮৮ ৮৮৮
বুলগেরিয়ান মোবাইল কোম্পানির এই ফোন নাম্বারটি প্রথমে ব্যবহার করে কোম্পানির সিইও ভ্লাদিমির গ্রাসনোভ। প্রতিপক্ষের দেওয়া বিষে মারা যান তিনি। এরপর নম্বরটি যায় মাদক সম্রাট কন্সটান্টিন দিমিত্রোভের কাছে। কয়েকদিন পর মারা যায় এই মানুষটিও। এরপর তার হাত থেকে মোবাইল যায় আরেক মাদক সম্রাটের কাছে। আর আন্দাজ করুন তো কি হয়েছিল তার সাথে? হ্যাঁ! ঠিক ধরেছেন। অপঘাতে মারা যায় এই লোকটিও। পরপর অপঘাতে তিনজনের মৃত্যুর পর মোবাইলটি বন্ধ করে ফেলা হয়। এখন পর্যন্ত সেটাকে আর কেউ ব্যবহার করেনি।

৩. ১৭ (সতের)
ইটালিতে ১৭ সংখ্যাটিকে প্রচন্ড অপয়া বলে মনে করা হয়। বাইবেলে বর্ণিত বন্যার শুরুটা হয়েছিল ফেব্রুয়ারীর ১৭ তারিখে। এছাড়া রোমান হরফে ১৭ লিখে খানিকটা এদিক ওদিক করলেই সেটি হয়ে ওঠে ভিক্সি। যার অর্থ দাড়ায় এরকম – আমি জীবিত ছিলাম। অর্থাৎ, সে এখন মৃত! আর তাই ১৭ নম্বরটিকে কেউই সহ্য করতে পারেনা এখানে। হোটেলের কামরায় কিংবা কোনো স্থান থাকেনা। ১৬ এর পর ১৮ শুরু হয়। আর দিনের ক্ষেত্রে তো কোন কথাই নেই! বিশেষ করে ১৭ তারিখ যদি শুক্রবার দিনে পড়ে তাহলে এটাকে ভয়ানক অপয়া মনে করা হয়। আর যদি হয় সেটা নভেম্বরের কোন মাস তাহলে পুরো মাসটাকেই অপয়া বলে ধরে নেওয়া হয়।

৪. ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ)
চীনে ২৫০ শব্দটির ইতিহাসের শুরুটা হয় তামার মূদ্রার সময় থেকে। সে সময় মূদ্রার ভালো মান ধরা হতো ১০০০ থেকে। এর অর্ধেক, মানে ৫০০ মূদ্রা থাকলে বুঝতে হবে সে একটু নীচু জাতের। আর এর চাইতে কম, ২৫০ মূদ্রা থাকলে বুঝতে হবে সে ভয়ানক নীচু শ্রেণীর। আর এই ব্যবহার থেকেই ২৫০ নিয়ে খারাপ ধারণা জন্মে গিয়েছে চীনাবাসীদের মনে। ২৫০ সংখ্যাটিকে খুব জেনে বুঝেই এড়িয়ে চলে তারা। গালফস্ট্রিম জি২৫০ নামের একটি বিমান পর্যন্ত নিজের নাম বদলে ফেলে জি২৮০ করে ফেলেছে এই কারণে কিছুদিন আগে।

৫. ৭ (সাত)
৭ কে অনেকে ভালো বা সৌভাগ্যের বাহক বলে মনে করলেও চীনে কিন্তু জিনিসটি একেবারেই নেতিবাচক একটা কিছু প্রকাশ করে। একানে ৭ মানে মৃত্যু, ভয়, বিপদ। চাইনিজ ক্যালেন্ডারের ৭ নং মাসটিকে অপয়া বলে মনে করা হয়। ডাকা হয় ভূতুড়ে মাস নামে। মনে করা হয় এই মাসে ভূত বেরিয়ে আসে। সংখ্যাটিকে অপয়া বলার আরো কিছু কারণ আছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালে জুলাই এর ১৭ তারিখে ১৭:১৭ পূর্ব ইউক্রেনে এমএইচ১৭ ধ্বংস হয়। এর সাথে জড়িত ছিল ৭৭৭ বোয়িং, যেটা ব্যবহার করা হচ্ছিল ১৭ বছর ধরে। এছাড়াও বিমান দূর্ঘটনার আরো অনেক নমুনায় ৭ সংখ্যাটি উপস্থিত থাকায় এটাকে অপয়া মনে করা হয়।


 http://www.deshebideshe.com/news/details/56078#sthash.bTvvZFs8.dpuf
Nahian Fyrose Fahim
Senior Lecturer ( Employee ID# 710001914)
Department of Pharmacy
Daffodil International University
Email: fyrose.ph@diu.edu.bd