শিশুর খাবার বাছাই ও খাওয়ানো নিয়ে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ন টিপস
ঘুরে ফিরে অনেকবারই আসে শিশুকে খাওয়ানোর কথা, শিশুর খাবার নিয়ে কথা। না এনেই আর উপায় কি বলুন? সময়ের সাথে সাথে প্রায়ই পরিবর্তন হয় শিশুকে খাওয়ানো ও খাবার নিয়ে বিভিন্ন ধারণার। আর যেহেতু আমরা চাই আপনার সন্তান থাক সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান তাই প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন টিপস জানানোর কাজটিও চলতে থাকে। আজ জেনে নিন শিশুকে খাওয়ানো ও শিশুর বিভিন্ন খাবার নিয়ে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ন কথা-
১। বিশেষজ্ঞরা সাধারনত এক বছর পর্যন্ত শিশুর যেসব খাবারে এলার্জি আছে সেসব খাবার খাওয়াতে মানা করে থাকেন। কিন্তু এটিও কখনো প্রমানিত হয়নি যে দেরীতে খাবারগুলো খাওয়ালে শিশু তখন আর এলার্জিতে আক্রান্ত হবেনা। এই ক্ষেত্রে আপনার যা করা উচিৎ তা হলো এক বছর পর্যন্ত এলার্জি হয় এমন খাবারগুলো শিশুকে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকা আর অন্যান্য খাবার দিয়ে এলার্জিক খাবারের খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন মেটানো। এক বছর পর যদি এলার্জির একই অবস্থা দেখা যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২। শিশুকে বিভিন রকমের ও স্বাদের মশলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিন ছোটবেলাতেই। এতে শিশুর খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশুর সাথে বিভিন্ন স্বাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়। তবে যে কোন মশলা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে তা শিশুর স্বাদ বা খাবারের স্বাদ নষ্ট করে ফেলবে। তাই খাবারে মশলার পরিমান সম্পর্কে সচেতন হোন।
৩। শিশুকে প্রতিদিন এক রকমের খাবার দিয়ে তার স্বাদ নষ্ট করবেননা। দরকার হয় মাঝে মাঝে ভালো মানের প্রক্রিয়াজাতকৃত শিশুখাদ্য খাওয়াতে পারেন। কিন্তু সবসময় একরকমের খাবার কিছুতেই প্রতিদিন খাওয়ানো যাবেনা। আর শিশুর স্বাদের ব্যপারেও যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
৪। শিশু যখন থেকে তরল ছাড়াও অন্যান্য খাবার খেতে পারে তখন থেকেই বিভিন্ন রকমের খাবার শিশুকে দিন। এতে তার মুখের স্বাদের পরিধি অনেক বেশি বাড়বে ও বড় হয়েও শিশু বিভিন্ন রকমের ও স্বাদের খাবার গ্রহনে উৎসাহিত হবে।
৫। শিশুর খাওয়ানোর পদ্ধতি ও নিত্য নতুন রেসিপি প্রায়ই দেখা যায়। এব্যাপারে নিজেকে সবসময় খাপ খাইয়ে নিন এবং যখন চিকিৎসকেরা যেভাবে পরামর্শ দেয় সেভাবে শিশুকে খাওয়ানোর ব্যাবস্থা নিন।