ঈদে বাড়ি ফিরছেন? মোবাইল ফোন আর চার্জার ঠিকমতো গুছিয়ে নিয়েছেন তো? যাঁরা দীর্ঘপথ পাড়ি দেবেন তাঁরা যাত্রাপথে চাইলে একটি পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে নিতে পারেন। যানজটের দুর্ভোগে আপনার স্মার্টফোন বা ডিভাইসে চার্জ ফুরিয়ে গেলে কাজে লাগবে। আপনার ঈদের কেনাকাটার তালিকায় তাই পাওয়ার ব্যাংকও রাখতে পারেন। এখন বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের জন্য পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম বহনযোগ্য চার্জার বাজারে আছে।
এসব চার্জারের মধ্যে ব্র্যান্ড ও নন ব্র্যান্ডের দুটিই বাজারে পাওয়া যাবে। জেনে নিন মডেল ও দামদর।
গেডমি: এলিট পি ১০ মডেল, দাম দুই হাজার ৬৫০ টাকা।
মাইসেল: মাইসেল স্পাইডার ১২ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার, দাম ১ হাজার ৪৫০ টাকায়।
টিপি লিংক: টিপ লিংক পিবি ৫০,১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার, দাম ২ হাজার ৭০০ টাকায়। টিএল পিবি, দাম ২ হাজার ৫৯০
জিওমি: জিওমি এমআই ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার, দাম ১ হাজার ৭০০ টাকা।
এডেটা: পিভি ১০০, দাম এক হাজার ৫৫০ টাকা, পিভি ১১০ মডেলের দাম দুই হাজার ৫০০ টাকা।
অ্যাপাসার: বি ১২০, দাম এক হাজার ৭০০ এবং বি১ ১০, দাম এক হাজার ৪৫০ টাকা।
জিনিয়াস: দাম দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা।
টিপিলিংক: পিবি ১০৪০০, দাম দুই হাজার ৫০০ টাকা।
ওয়ালটন: ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার, দাম এক হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৩৫০ টাকা।
এ ছাড়াও ডিলাক্স, এমআই, উইনডি, আলট্রা ইত্যাদি ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক বাজারে পাওয়া যাবে এক হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। বাজারে সোলার পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যাবে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও বাজারে স্মার্টফোন পাওয়ার ব্যাংকের মডেল অনুযায়ী দামের তারতম্য রয়েছে।
পাওয়ার ব্যাংক বিষয়ে জেনে রাখা ভালো
পাওয়ার ব্যাংকের সাহায্যে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, আইপড, এমপি থ্রিসহ নানা ডিভাইস চার্জ দেওয়া যায়। ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইউএসবি কেবল দিয়ে পুরোপুরি চার্জ দেওয়া যায় পাওয়ার ব্যাংকটিকে। একবার সম্পূর্ণ চার্জ দিলে এটির সাহায্যে স্মার্টফোনে চার থেকে পাঁচবার চার্জ করা যায়। তবে মডেলে অনুযায়ী বিভিন্নতা রয়েছে কার্যক্ষমতার।
১. পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে এর ওয়ারেন্টি আছে কিনা দেখে নিন।
২. একেবারে কম দামে বেশি ধারণক্ষমতার পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে সতর্ক থাকুন।
৩. বাজারে এখন নকল পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। ই-কমার্স সাইট থেকে পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে সতর্ক থাকুন।
৪. পাওয়ার ব্যাংকের বড় সমস্যা হলো ‘অ্যাম্পিয়ার’ ঠিক না থাকা। পণ্যটি রিফ্রাবিশড কি না দেখে নিন।
৫. ফোনের ব্যাটারির চেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার পাওয়ার ব্যাংক কিনুন।
পাওয়ার ব্যাংক দেখে কিনুন
বাজারে পাওয়ার ব্যাংক তৈরি করে না এমন অনেক ব্র্যান্ডের পণ্যও আছে। এগুলো রিফ্রাবিশড পণ্য। এ ধরনের পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করলে স্মার্টফোনের ক্ষতি হতে পারে। বাংলাদেশে প্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্সের বিপণন বিভাগের প্রধান তারিক-উল-হাসান প্রথম আলোকে বলেন, পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি। একটি হচ্ছে ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা। রিফ্রাবিশড পণ্য না কেনা। দেখতে চকচকে হলেও বাজারে নিম্নমানের যে পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে তার ভেতরে থাকে রিচার্জেবল ব্যাটারি। এতে মোবাইল ফোনে ঠিকমতো চার্জ হয় না। এ ছাড়া ব্যাটারি বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কাও থাকে।
পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে তা ধাতব কাঠামোর তৈরি কি না এবং তাতে লিথিয়াম পলিমারের ব্যাটারি আছে কি না তা দেখে নিন। বাজারে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাংকও রয়েছে। তবে লি-পলিমার ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাংক ভালো। ওয়ারেন্টি আর ব্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক কিনলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই।