International Affairs > International Activity

এসডিজি নিয়ে সিপিডির সংবাদ সম্মেলন: বাংলাদেশের পাঁচ চ্যালেঞ্জ

(1/1)

mahmudul_ns:
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সামনে এখন পাঁচটি চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো, বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচিকে জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করা, অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিত নিশ্চিত করা, সম্পদের প্রাপ্যতা, বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যান ও তদারকি এবং কাঠামোগত কৌশল ও বাস্তবায়ন।

গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এসডিজি বাস্তবায়নে এসব চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেছে। মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এসডিজি পর্যালোচনা তুলে ধরেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

সিপিডি মনে করে, সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যে (এমডিজি) শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এসডিজিতে কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসডিজিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ১৯৩টি দেশের জন্য অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আলাদা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দুটি লক্ষ্যই এসডিজির বিশেষত্ব।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অদ্ভুত এক সময় পার করছে পৃথিবী। সময়োপযোগী ও উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এমন নয়। পৃথিবীতে এখন আগের চেয়ে বেশি সংঘাতময়, বাস্তুহারা সমস্যাও বাড়ছে। অর্থনৈতিক সংকটও রয়েছে। তাঁর মতে, পৃথিবী যখন সবচেয়ে কম প্রস্তুত, তখন এমন বড় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ইচ্ছা নিয়েই এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামী ১৫ বছর বাংলাদেশকে এমন উন্নয়ন ও সামাজিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

এসডিজি বাস্তবায়নের পুরো বিষয়টি তদারকির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে সিপিডি। সিপিডি মনে করে, যেহেতু এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থায়নের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি উন্নত দেশগুলো, তাই অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে।

কীভাবে দেশজ উৎস থেকে সম্পদ আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, এর কিছু উদাহরণ দিয়েছে সিপিডি। সিপিডি বলছে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের হার জিডিপির ১২ দশমিক ১ শতাংশ। আর পাচার হয়ে যায় জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ অর্থ পাচার বন্ধ করলেও সম্পদ আহরণ বাড়বে। অন্যদিকে দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি বিদেশি সাহায্য পাইপলাইনে আছে। এ প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, স্বল্প সুদে বা স্বল্প মূল্যের বিদেশি সহায়তা না নিয়ে সরকার প্রতিবছর উচ্চ সুদে বা উচ্চ মূল্যে ব্যাংকঋণ নেয়। এটা কোনো অর্থনৈতিক যুক্তিতে টেকে না।

সিপিডির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে নয়টি লক্ষ্যের বিষয়ে খুব বেশি জোর দেওয়া হয় না, পর্যাপ্ত বরাদ্দও থাকে না। যেমন স্বাস্থ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান, অবকাঠামো, বৈষম্য, নগরায়ণ, টেকসই ভোগ ও উৎপাদন, সমুদ্রসম্পদের ব্যবহার, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময়তা এবং সুশাসন।

সুশাসন সম্পর্কে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি জোর দেওয়া হয়েছে। ১৯৩টি দেশ নিজেদের ভূখণ্ডে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি প্রসারিত হলো। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এত দিন যা উন্নয়নকে আয়ের হিসাবে দেখা হতো, এসডিজিতে তা মানবাধিকারের দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে।

এমডিজি অর্জনে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এর কারণ হিসেবে সিপিডি বলছে, এমজিডি বাস্তবায়নকালের (২০০০-২০১৫) অনেক আগে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গবৈষম্যহীনতা—এসব বিষয় স্থান পেয়েছে। সুশাসনের অভাব, অবকাঠামোর দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এমডিজিতে ভালো করেছে। এটি কোনো একক সরকারের কৃতিত্ব নয়, দুই দশক ধরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের সাফল্য। এটি জাতীয় সাফল্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ, অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।

the daily prothom-alo: 06.10.15

omarsharif:
Insha-allah we will definitely achieve and fulfill the target of SDG.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version