ঠাণ্ডা ও কফ নিরাময়

Author Topic: ঠাণ্ডা ও কফ নিরাময়  (Read 1001 times)

Offline sisyphus

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 424
  • RAM
    • View Profile
ঠাণ্ডা ও কফ নিরাময়
« on: November 23, 2015, 12:25:37 PM »
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঘরেোয়া উপায়ে ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে মুক্তির কিছু টোটকা উল্লেখ করা হয়।

গরম ভাপ: ঠাণ্ডা এবং কফের সমস্যা হলে ভাপ বেশ উপকারী। একটি বড় বাটিতে গরম পানি নিয়ে ভাপ টেনে নিতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই ভাপ নেওয়া গেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা মেনথল মিশিয়ে দিলে আরও উপকার পাওয়া যাবে।

মধু: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারইজারের কাজ করে মধু। তাছাড়া ঠাণ্ডা কফ সারাতেও দারুণ ঔষুধি গুণ রয়েছে এই উপাদানের। দিনে তিনবার খানিকটা মধু খেলে উপকার পাওয়া যাবে। পাঁচ বছরের উপরে যাদের বয়স তাদের জন্য মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনিগুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ালে বেশি উপকার হয়।

মালিশ: দুই বছরের ছোট শিশুদের জন্য মালিশ বেশ উপকারী। সরিষার তেলের সঙ্গে খানিকটা রসুন নিয়ে হালকা গরম করে ওই মিশ্রণ দিয়ে মালিশ করা যেতে পারে। বুকে, পিঠে এবং গলায় এই তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে। তাছাড়া শিশুর হাতের তালু এবং পায়ের তালুতেও হালকা মালিশ করতে হবে।

প্রচুর পানীয় পান করতে দিতে হবে: কাশি এবং কফের সমস্যায় শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন। নিয়ম করে পানি পান করতে হবে। এতে সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। তাছাড়া হালকা গরম পানি পানে গলার খুসখুসে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পানি ছাড়া গরম সুপ, তাজা ফলের রস ইত্যাদিও বেশ উপকারী।

লবণ পানি দিয়ে গারগল করা: গলার ইনফেকশন বা প্রদাহে কুসুম গরম পানিতে খানিকটা লবণ মিশিয়ে গারগল করা বেশ উপকারী। তাছাড়া গলা ব্যথা কমাতেও এটি সাহায্য করে। দিনে দুবার গারগল করলে উপকার পাওয়া যাবে।

হলুদ মিশ্রিত দুধঃ হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাস জনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদগুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করা যেতে পারে। সর্দি ও গলা ব্যথায় এই দুধ অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম শক্তি জোগাবে এবং সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
Mr. Rafi Al Mahmud
Sr. Lecturer
Department of Development Studies
Daffodil International University