স্টিফেন হকিংয়ের রহস্য!ভুলে যাও কৃষ্ণবিবরের কথা! নারী হচ্ছে এই বিশ্বে সবচেয়ে রহস্যময়। এরকমই দাবি করেছেন মহাবিশ্ব গবেষক স্টিফেন হকিং। এই খ্যাতনামা পদার্থবিজ্ঞানী ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং দু'বার বিবাহ বিচ্ছেদের মুখোমুখি হয়েছেন। ওয়েবসাইট রেডিডটে পোস্ট করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এ কথা তিনি বলেন। পদার্থবিজ্ঞানে তার পিএইচডি ডিগ্রি থাকলেও
নারীদের রহস্যময়তা তিনি ভেদ করতে পারেননি।
স্টিফেন হকিং-এর জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। তিনি কেমব্রিজের লুকাশিয়ান পদেও ছিলেন বেশ কয়েক বছর। এ পদে মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনও ছিলেন এক সময়, ছিলেন প্রতিপদার্থের ধারণার প্রবর্তক পল ডিরাক। মাত্র ২১ বছর বয়সে মটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী হকিং। তার পরও তিনি টিকে আছেন। ৪০ বছর ধরে স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা নেই ৭০ বছর বয়সী হকিংয়ের; কিন্তু অসাধারণ সব গবেষণা করেছেন। কোয়ান্টাম জগতের অনিশ্চয়তা নীতিকে তিনি নিয়ে গেছেন কৃষ্ণবিবরের কাছে। আশ্চর্য হয়ে দেখালেন কৃষ্ণবিবর কালো নয়! ওখান থেকে বের হয়ে আসছে কণাস্রোত! ১৯৭৩ সালে তিনি কৃষ্ণবিবরের কণাস্রোতের কথা বলেন। এখন এ কণাস্রোতের নাম হকিং বিকিরণ!
অথচ এই বিজ্ঞানীর কাছে জীবনের সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিউত্তরে বলেছিলেন, নারী। তিনি আরও বলেন, আমার ব্যক্তিগত সহকারী আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় পদার্থবিজ্ঞানে তোমার পিএইচডি আছে; কিন্তু নারীদের ব্যাপারে তোমার ধারণা খুব একটা স্বচ্ছ নয়।
তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যাপারে বারবার সতর্ক করছেন। সামর্থ্যগতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে বিকাশ ঘটবে, তাতে পুরো মানবজাতি অতাৎপর্যপূর্ণ হয়ে যেতে পারে। বিশ্ব সম্পর্কে সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলো অনবরত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। একটু একটু করে এগোচ্ছেনও। কিন্তু একটি রহস্যের কথা তিনি বলেছেন, যার সম্পর্কে একটুও অগ্রগতিও হয়নি; বরং যে তিমিরে তিনি ছিলেন, সেখানেই রয়ে গেছেন। ওয়েবসাইট রেডিডট আস্ক মি অ্যানিথিং পর্বে মন্তব্য তৈরি করার সময় এ পদার্থবিজ্ঞানী বলেছেন, বিপরীত লিঙ্গ হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় কৌতূহলোদ্দীপক রহস্য।
যদিও প্রশ্নগুলো জুলাইয়ের দিকে করা হয়েছিল, হকিং শুধু আলোচনারত টপিকগুলোর উত্তর দিচ্ছিলেন। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের ব্যাপারটি তার কাছে অস্বস্তিকর, কেননা মানবজাতির জন্য দুর্ভাগ্য বয়ে নিয়ে আসতে পারে তা। কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা মানবজাতিকে গুরুত্বহীন করে তুলবে। মেইল অনলাইন
Source:
http://www.samakal.net/2015/10/13/167340