যে ১০টি কারণে কিডনিতে পাথর হয়

Author Topic: যে ১০টি কারণে কিডনিতে পাথর হয়  (Read 1061 times)

Offline khairulsagir

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 142
  • Test
    • View Profile
১. ক্যালসিয়ামের অভাব
কিডনির পাথরে মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই একসময় খাদ্যে ক্যালসিয়াম কমানোর পরামর্শ দিতেন গবেষকরা। তবে এটা ছিল পুরোনো ধারণা। এখন বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা কম ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খায়, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আসলে পুরো বিষয়টিই হলো ভারসাম্যের। বেশিও নয়, কমও নয়, পরিমাণ মতো খেতে হবে।

২. সবজি
অক্সালেট পাওয়া যায় পাতাযুক্ত শাকসবজিতে। যেমন : পুঁইশাক, বিট পালং ইত্যাদি। এই অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্ত্রে ইউরিনারি ট্যাক্ট দিয়ে বের হয়ে যায়। তবে এই অক্সালেট যদি বেশি পরিমাণে হয়, এটি পাথর গঠন করতে পারে। এর মানে এই নয় যে আপনি সবজি খাবেন না। তবে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে কম অক্সালেট-সমৃদ্ধ সবজি খান।

৩. লবণ
বেশি লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। যদি আপনার সোডিয়াম গ্রহণ বেড়ে যায়, তবে কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম নিঃসৃত হয়। প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করতে পারবেন। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তারা এক হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম প্রতিদিন গ্রহণ করতে পারবেন।

৪. বেশি মাংস খাওয়া
অন্যদিকে বেশি লাল মাংস (গরু, খাসি) এবং পোলট্রির মাংস খাওয়া কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সবজি এবং মাছ বেশি খায় তাদের ৩০ থেকে ৫০ ভাগ কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

৫. ভৌগোলিক কারণে
দক্ষিণ-পূর্ব ইউনাইটেড স্টেটকে সাধারণত বাইবেল বেল্ট বলা হয়। তবে ইউরোলজিস্টরা একে কিডনি স্টোন বেল্ট হিসেবে বলে থাকেন। আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমোলজি ১৯৯৬ সালে জানিয়েছে, যারা এই এলাকায় থাকেন, তারা কিডনিতে পাথর হওয়ার দ্বিগুণ ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি থাকে। এর ফলে এরা প্রচুর ঘামে এবং পানিশূন্যতায় ভোগেন। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করেন, তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৬. বংশগত কারণে
যদি আপনার বাবা-মা কারো এই সমস্যা হওয়ার ঘটনা থাকে, তবে আপনারও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। জিনগত কারণ এখানে কাজ করে। ওজনাধিক্য এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ক্ষেত্রেও জিনগত কিছু কারণ কাজ করে

৭. আইবিডি
যেসব লোকের ইনফ্লামেটরি বাউয়েল রোগ থাকে, তারা কিডনির রোগ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। ২০১৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নিউরোপ্যাথির একটি গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া যায়।

৮. ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন
ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন আরেকটি কারণ কিডনিতে পাথর হওয়ার। কেবল কিডনিতেই পাথর হয় না, ইউরিনারি ট্রাক্টেও পাথর তৈরি হতে পারে।

৯. মাইগ্রেনের ওষুধ
টপিরামেট জাতীয় (এটা টোপাম্যাক্স হিসেবে পাওয়া যায়) ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো সাধারণত মাইগ্রেনের রোগে ব্যবহার করা হয়। ২০০৬ সালের আমেরিকান জার্নাল অব কিডনি ডিজিজের প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, টপিরামেট ইউরিনারি ট্র্যাক্টে পিএইচের পরিমাণ বাড়ায় যেটা কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার জন্য দায়ী। তাই এ ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১০. ওজন
২০১১ সালের জার্নাল অব ইউরোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, পাতলা লোকদের থেকে ওজনাধিক্য নারীরা ৩৫ শতাংশ বেশি কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বেশি ওজন ইউরিনারি ট্র্যাক্ট পরিবেশকে পরিবর্তন করে, যা কিডনির পাথর হওয়ার প্রক্রিয়া বাড়ায়। প্রস্রাবের পিএইচের মাত্রাকে পরিবর্তন করে, যা ইউরিক এসিড তৈরি করে এবং কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।







Source: http://www.latestbdnews.com/the-10-are-reason-kidney-stones/

Offline imran986

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • If you don't try, Allah will not help you too
    • View Profile
Nice to Know !
...........................
Md. Emran Hossain
Coordination Officer
Department of Nutrition and Food Engineering (NFE)
Daffodil International University

Offline drshahjahan

  • Newbie
  • *
  • Posts: 18
  • Test
    • View Profile
thanks for ur post