নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ খুবই বিব্রতকর একটি সমস্যা। এই সমস্যায় যারা ভোগেন তারাই বিব্রতকর অবস্থা সম্পর্কে ভালো করে বুঝতে পারেন। মুখ পরিষ্কার রাখার পরও অনেকেই এই নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন নানা কারণে, এর মধ্যে ধূমপান করা, মাড়ির ইনফেকশন, দাঁতের গোঁড়া থেকে রক্ত পড়া ইত্যাদি সমস্যা অন্যতম। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেক সহজেই দীর্ঘক্ষণ নিঃশ্বাসে সতেজতা ধরে রাখতে পারবেন। আজকে জেনে নিন এই নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে দূরে থেকে দীর্ঘক্ষণ সতেজতা ধরে রাখার দারুণ কিছু উপায়।
১) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
মুখ যখন খুব বেশি শুকিয়ে যায় অর্থাৎ মুখের ভেতরে স্যালিভার উৎপাদন কমে যায় তখনই মূলত ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মাতে থাকে এবং মুখে দুর্গন্ধ হতে থাকে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন দেহের এবং মুখের ভেতরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন, বেশ খানিকটা সময় নিঃশ্বাসে সতেজতা ধরে রাখতে পারবেন।
২) জিহ্বা পরিষ্কার করুন
দুবেলা ভালো করে দাঁত ব্রাশ করলেই দাঁত ভালো রাখা এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত থাকার আশা করা যায় না। এর সাথে আপনাকে অবশ্যই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে জিহ্বা পরিষ্কার করা। ভালো করে জিহ্বা পরিষ্কার করুন দু বার। এতেও অনেকটা সময় নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করতে পারবেন।
৩) চিনি মুক্ত চুইংগাম চিবোন
আমরা যখন কোনো খাবার খাই তখন আমাদের মুখের ভেতরে স্যালিভার উৎপাদন বেড়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। কিন্তু সর্বক্ষণ তো খাবার খাওয়া সম্ভব নয়, এর খুব ভালো সমাধান হচ্ছে চুইংগাম চিবোনো। তবে অবশ্যই চিনিমুক্ত চুইংগাম ব্যবহার করবেন নতুবা দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়।
৪) চা/কফি পান করা কমিয়ে দিন
চা/কফির ক্যাফেইন আমাদের দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে। অর্থাৎ আমাদের দেহের আর্দ্রতা যেমন হারায় তেমনই হারায় মুখের ভেতরের। স্যালিভার উৎপাদন কমে যায়, ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে থাকে মুখে। তাই চা/কফির পরিমাণ কমিয়ে আনুন দীর্ঘক্ষণ সতেজ নিঃশ্বাস ধরে রাখতে চাইলে।
৫) ধূমপান বন্ধ করুন
সিগারেটের নিকোটিন মুখের স্যালিভা উৎপাদন গ্রন্থির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দিয়ে থাকে। এতে করে মুখে প্রতিনিয়ত ব্যাকটেরিয়া জন্মায় অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়া শুরু করে যা মুখ পরিষ্কার রাখলেও চলে যায় না। একমাত্র সমাধান ধূমপান বন্ধ করে দেয়া।
৬) নিয়মিত চেকআপ করুন
মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা হওয়ার পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার চাইতে নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে সমস্যা এড়িয়ে চলাই ভালো। এছাড়াও দাঁতের গোঁড়া বা মাড়িতে ইনফেকশন হয়েছে কি না তা বোঝার জন্যও ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। তাই নিয়মিত চেকআপ করিয়ে মাড়ি ও দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করে নিঃশ্বাসের সতেজতা বজায় রাখুন।