শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্য। চীনে এখন দিন দিন বাড়ছে ‘লাভ ইনস্যুরেন্স’ কিংবা ‘ভালোবাসা বীমা’র হার। অনেক প্রতিষ্ঠান একেবারে পেশাদার মনোভাব নিয়ে বিনিয়োগ করছে এ খাতে। এমনকি বিনিয়োগ বাড়ছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যেও। জুটির উদ্দেশ্য একটাই—সম্পর্কটা যেন ভেঙে না যায়।
‘ভালোবাসা বীমার’ নিয়মকানুনটা জানা দরকার। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো, একেক কম্পানির প্রস্তাব (অফার) একেক রকম। যেমন—একটি কম্পানির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথমে কোনো জুটিকে এককালীন ৩০ ডলার দিয়ে বীমা খুলতে হবে। এর বিনিময়ে কম্পানির তরফ থেকে ওই জুটিকে দেওয়া হবে ‘লাভ সার্টিফিকেট’ বা ‘ভালোবাসার সনদ’। এরপর ওই জুটি যদি তিন থেকে ১৩ বছরের মধ্যে বিয়ে করতে পারে, তাহলে তারা কম্পানির তরফ থেকে পাবে দামি উপহার। এর মধ্যে হীরার গয়না থেকে শুরু করে আছে নগদ অর্থও। আর বিয়ে না হলে শুরুর ৩০ ডলার যাবে গচ্ছা।
বিয়ে করার উৎসাহ দিতে এই বীমা চালু হয়েছে—এমনটা ভাবলে ভুল হবে। কারণ বিচ্ছিন্নতার এই যুগে যেভাবে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, সেই প্রবণতার কারণেই ব্যবসায় নেমেছে কতগুলো কম্পানি। এ ছাড়া চীনে বিয়ের হার হ্রাস পাওয়ার বিষয়টিও ব্যবসায়ীদের ‘ভালোবাসা বীমায়’ উৎসাহ দিয়েছে।
নিং নামের এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি ‘ভালোবাসা বীমা’ করেছেন এই আশায়, যেন প্রেমিকা তাঁকে ছেড়ে না যান। সূত্র : ডেইলি মেইল।