আঙুলের ছাপ নেয়ার পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল থেকে পরীক্ষা-মূলকভাবে চালু হওয়া এ পদ্ধতির কার্যক্রম দেখতে বিভিন্ন অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যান ডাক ও টেলি-যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। অপারেটরদের প্রস্তুতি দেখতে তিনি দুপুর ১২টা থেকে পর্যায়ক্রমে গুলশানে রবি, গ্রামীণফোন, টেলিটক, বাংলালিংক ও এয়ারটেলের গ্রাহক সেবাকেন্দ্রে যান। এসময় গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৬ই ডিসেম্বর থেকে এই পদ্ধতি চূড়ান্তভাবে চালু হবে। এতে ব্যর্থ হলে অনিবন্ধিত সিমের জন্য অপারেটরদের সিম প্রতি পঞ্চাশ ডলার জরিমানার বিধান কার্যকর করা হবে। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২১শে অক্টোবর সকাল সাদে দশটায় সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ জয়। সারাদেশে গ্রামীণফোনের ৭৯টি, রবির ৪৬টি কাস্টমার কেয়ারে এই সেবা দেয়া শুরু হয়েছে। অন্য দিকে টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও কাস্টমার কেয়ার পয়েন্ট রয়েছে ৩১টি। রবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিদর্শনের সময় আঙুলের ছাপসহ গ্রাহকদের সঠিক নিবন্ধনের জন্য রবির গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী ও বিটিআরসির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবহিত করেন রবির কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে রবির প্রস্তুতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা। বিটিআরসির জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুধু সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নির্দিষ্ট কাস্টমার কেয়ারে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সনদ, পাসপোর্টের মতো অনুমোদিত পরিচয়পত্র দিয়ে সিম নিবন্ধন করা যাবে। অনুমোদিত পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে হবে। আজ যিনি নতুন সিম কিনবেন, তাকে যেমন এ পদ্ধতি অনুসরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আবার যে গ্রাহক আগেই সিম কিনেছেন, সেটি যদি ঠিকভাবে নিবন্ধিত হয়ে না থাকে, তাহলে তার জন্যও এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। আবার হারিয়ে যাওয়া সিমটি প্রতিস্থাপন করতে হলেও এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে আগে কেনা সিমের সঠিক নিবন্ধন দুভাবে করা হচ্ছে। ২০১২ সালের আগে কেনা সিমের নিবন্ধন করতে গত ১৫ই অক্টোবর থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে মেসেজ পাঠানো শুরু করেছে অপারেটররা। আর ২০১২ সালের পরে কেনা সিমের জন্য গ্রাহকেরা নিজেরাই নিবন্ধনের সঠিকতা অনলাইনে যাচাই করতে পারছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কারও কাছে সিম বিক্রি করা যাবে না। সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের তাদের অভিভাবকের (মা-বাবা) নামে সিম নিবন্ধন করতে হবে। ভুয়া পরিচয় এবং নিবন্ধন না করে সিম কিনে অপরাধীদের ব্যবহার ঠেকাতে গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধন করতে হবে। ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে সিম নিবন্ধন করতে হবে। -
Source:
http://amarbangladesh-online.com/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87/#.VkwIKdIrLcc