এ বছরের সেরার পুরস্কারগুলো নেওয়ার ‘অভ্যাস’টা শুরু করে দিতে পারেন লিওনেল মেসি। ব্যালন ডি’অরের সেরা তিনে মনোনয়ন পেয়েছেন, জানুয়ারি মাসে জুরিখের মঞ্চে সোনালি বলটা হাতে তোলার জন্য সবচেয়ে ফেবারিটও তিনি। বিশ্বসেরা হয়তো হবেন, তবে তার আগে স্পেন-সেরার পুরস্কারটাও হাতে পেয়ে গেলেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। সোমবার লা লিগার পুরস্কার অনুষ্ঠানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে স্পেনের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মেসি।
শুধু বর্ষসেরা খেলোয়াড়ই নন, রোনালদো ও সুয়ারেজকে পেছনে ফেলে বর্ষসেরা স্ট্রাইকারও হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এ নিয়ে ছয়বার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও স্ট্রাইকার—দুটি পুরস্কারই নিজের করলেন মেসি। ‘পুরস্কার পেয়ে খুশি’ জানিয়ে মেসি তা উৎসর্গ করলেন ছেলে থিয়াগোকে, ‘এত এত সেরা খেলোয়াড়ের মধ্যে বর্ষসেরা হওয়াটা অবশ্যই গর্বের। এই পুরস্কারটি নির্দিষ্ট করে আমি থিয়াগোকে উৎসর্গ করছি, যদিও ও এর কিছুই বোঝে না।’
গতকাল বার্সেলোনায় লা লিগার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়জয়কার ছিল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়দেরই। সবগুলো পুরস্কারই গেছে এই দুই ক্লাবের দখলে। মেসির সতীর্থ নেইমার জিতেছেন বর্ষসেরা ‘আমেরিকান’ খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এদিক থেকে একটু ‘হতাশা’তেই কেটেছে ‘এমএসএনে’র বাকি সদস্য লুইস সুয়ারেজের। বাকি দুই বন্ধুর মতো এখানে আর ‘মিলেমিশে স্কোর’ করতে পারলেন না এই উরুগুইয়ান—গতরাতে যে কিছুই জেতা হয়নি তাঁর।
বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও স্ট্রাইকার কোনো পুরস্কারই পাননি, তবে একেবারেই প্রাপ্তিহীন কাটেনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রাত। ‘ফ্যানস ফাইভ স্টার প্লেয়ার’ পুরস্কার পেয়েছেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। তবে সেটাতে তিনি খুশি হবেন কেন! হয়তো এই কারণেই অনুষ্ঠানে আসেননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। তাঁর হয়ে পুরস্কার নিয়েছেন সতীর্থ সার্জিও রামোস। রিয়াল ডিফেন্ডার নিজেও পেয়েছেন বর্ষসেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার।
পুরস্কারের মঞ্চে এসেও রামোসকে কথা বলতে হয়েছে রিয়ালের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে। নিজেদের একটু খারাপ সময় যাচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়ে রামোস সতর্ক করে দিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকেও। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল টেলিদেপোর্তেকে বললেন, ‘কঠিন একটা সপ্তাহ গেছে, অনেক বাজে ফল হয়েছে। ক্লাসিকোতে অমন হারটা মেনে নেওয়া বেশ কঠিন। তবে এখন সব ভুলে গিয়ে নিশ্চিত করতে হবে আমরা যেন আর কোনো পয়েন্ট না হারাই।
বার্সেলোনার উচিত এই সময়টা যতটুকু সম্ভব উপভোগ করা, কোনো কিছুই তো আর চিরদিন থাকে না।’
সেরা ডিফেন্ডার ছাড়াও রিয়ালের ঘরে পুরস্কার গেছে আরও একটি। বর্ষসেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন কলম্বিয়ান হামেস রদ্রিগেজ। তবে বর্ষসেরা গোলরক্ষক আর কোচ হয়েছেন বার্সা থেকেই। গত মৌসুমে দলকে ট্রেবল জেতানোয় এবার ব্যালন ডি’অরেও বর্ষসেরা কোচ হওয়ার সম্ভাবনা আছে লুইস এনরিকের। তার আগে স্পেনে সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো ম্যাচ খেলা না হলেও লিগে ভালো খেলার পুরস্কার পেলেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো।
বার্সা-রিয়ালের দাপটের ভিড়ে একটা পুরস্কারই গেছে অন্য ক্লাবে— বর্ষসেরা আফ্রিকান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন ভ্যালেন্সিয়ার সোফিয়ান ফেগুলি।