প্রকৃতিতে এখন শীতের পদধ্বনি। বনে বনে পাতা ঝরার শব্দ।
একইসঙ্গে হিম বাতাসে ভর করে গ্রাম-বাংলায় আসে ভিন্ন আমেজ। নতুন খেজুরের রস ও গুড়ের পিঠা-পায়েশের আতিথিয়তায় পল্লীর ঘরে ঘরে যেন উৎসব নামে। শহরবাসীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন দূরের প্রকৃতির কোলে বনভোজনের আয়োজনে।
কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে বাড়তি কিছু বিড়ম্বনাও নিয়ে আসে শীতকাল। আর এজন্য চাই বাড়তি কিছু প্রস্তুতিও।
শীতকালে শিশুদের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। বড়দেরও থাকতে হয় সচেতন। না হলে শীত ও ঠান্ডাজনিত নানা ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
কাজেই শীতের দিনে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি:
বাইরে বেরুলে অবশ্যই গরম জামা সাথে রাখুন। সময়মতো তা পড়ে নিন। দেখবেন জামা যাতে খুব বেশি গরম বা খুব বেশি পাতলা না হয়।
শীতকালে স্কুলগুলোতে ছুটি থাকে। তাই বাচ্চাদের খেলাধুলাও বেড়ে যায়। কিন্তু বাইরে খেলার ফলে বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন রকরমের পোকা কামড়ায়। তাদের যাতে পোকামাকড় কামড়াতে না পাড়ে তার দিকে নজর দেবেন।
বাইরে বেরুলেই সান্সক্রিম মাখবেন। দেখে নেবেন সান্সক্রিমে এসপিএফের পরিমাণ যেন ভালো থাকে।
শীতকালে বেশি করে পানি পান করুন। কারণ শীতকালে শরীরের ভেতর অনেক গরম হয়ে যায়। এছাড়া তৃষ্ণাও পায় বেশি। যার জন্য ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খাবার খাওয়ার সময় যাতে বাচ্চারা হাত ধোয় তার দিকে অবশ্যই নজর রাখবেন। কারণ ঠান্ডা লাগার ভয়ে অনেক বাচ্চাই এসময় হাত ধুতে চায় না। ফলে রোগ-জীবানু সংক্রমনের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
শীত বেশি পড়লে রুম হিটার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে যেসব পরিবারে শিশু রয়েছে তাদের পর্যাপ্ত তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়।
পোশাক পরিচ্ছেদ নিয়মিত পরিস্কার করুন। কারণ এ শীতে নানা ধরনের চর্মরোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষ করে বাচ্চারা এর শিকার হয় সবচেয়ে বেশি।
Source: Campuslive24.com