সকালের শিশির ভেজা ঘাসের গালিচায় হেঁটে বেড়ানোর গ্রামীণ স্মৃতি অনেকেরই আছে।
শৈশবের দুরন্তপনার কারণে হয়তো খালি পায়ে ছোটাছুটির আনন্দ ছিল অন্যরকম। কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি।
আজকের ইট-পাথরের ঘেরাটোপে বন্দী জীবনে খালি পায়ে হাঁটার পরিবেশ ও সময় দুটোই বড়ো কম। তবে শরীর ও মনের সুস্থতার কথা বিবেচনা করলে শৈশবের সেই দুরন্তপনাই সম্বল।
কারণ খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতার কথা বলে শেষ করার নয়। পাঠকদের জন্য বিশেষ কিছু উপকারিতার কথা তুলে ধরা হলো-
হাঁটা রক্তচাপ কমায়। কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। অতিরিক্ত মেদ নিয়ে ভাবনা থেকে দূরে থাকা যায়। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, আন্থ্রাইটিস, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক হবার ঝুঁকি কমায়। হাঁড় শক্ত করে। বাড়ায় রক্ত চলাচল। ফলে হার্ট ভালো থাকে, শরীরের সামগ্রিক শক্তি বা ফিটনেস বাড়ে।
নিয়মিত হাঁটায় ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমে। পেশীর শক্তি বাড়ায়। হেলদি বিএমআই ধরে রাখে বা অর্জন করা যায়। হেলদি ওয়েস্ট টু হিপ রেসিও ধরে রাখে বা অর্জন করা যায়।
মেটাবলিজম বাড়ায়। শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে। তারুণ্য ধরে রাখে। আয়ু বাড়ায়। ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায়। ভালো ঘুম হয়। বাড়ে স্মরণ শক্তি।
মন প্রফুল্ল রাখতেও রয়েছে হাঁটার প্রভাব। মানসিক অবসাদ দূর করে ও মন ভালো করে।
মানসিক শক্তি বৃদ্ধি ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও রয়েছে হাঁটার অবদান।
Source: Campuslive24.com