৫৬ হাজার বর্গমাইলের বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীব বাংলাদেশে রয়েছে সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি। আর দেশের প্রাকৃতিক স্থানগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে বিশাল পর্যটনশিল্প। এই সৌন্দর্যকে রক্ষায় দেশের প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সংরক্ষিত পর্যটন ব্যবস্থা চালুর করার কথা জানলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সম্প্রতি দেশের একমাত্র জলার বন রাতারগুলের পরিবেশ দূষণ নিয়ে ‘হুমকির মুখে রাতারগুলের জীব-বৈচিত্র্য’ এবং ‘ইজারা প্রতিযোগিতার খপ্পরে দেশের একমাত্র জলারবন রাতারগুল’ শিরোনামে প্রিয়.কম এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলোতে অপরিকল্পিত পর্যটনের কারণে সৃষ্ট দূষণের চিত্র উঠে আসে।
তবে শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পর্যটন সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম (এটিজেএফবি) ও পর্যটনের ক্রাউডসোর্স ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘অফরোড বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এ কর্মশালায় পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, পর্যটন আকর্ষনে দেশের মানুষকে বর্তমানে বলা যাবে না যে দেশের মধ্যে যেখানে ইচ্ছে ঘুরে বেড়াও বরং এখন আমাদের পর্যটন এলাকা সংরক্ষিত করতে হবে। কারণ বেশ কিছু প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পর্যটন জোন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে ওইসব এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সিলেটের রাতারগুল ও কক্সবাজার। কারণ এসব এলাকাগুলো পরিবেশ অনেক নষ্ট হচ্ছে। তাই এসব এলাকায় সংরক্ষিত-ট্যুরিজম চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছি।
এছাড়া পার্বত্য এলাকাতে অ্যাডোভেঞ্চার ট্যুরিজমের বিষয়েও সরকার চিন্তা ভাবনা করছে এবং এ বিষয়ে বেশ কিছু তরুণ কাজ করছে বলেও জানান পর্যটনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পর্যটক শুধুমাত্র বেড়ানো বা বিনোদনের জন্য নয়। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে পর্যটন ও পরিবেশ একসূত্রে জড়িত। তাই আমরা পরিবেশ যে আইন তা মেনে পর্যটনবান্ধব বাংলাদেশ করতে যাচ্ছি। এজন্য আগেই ইকোলজিক্যালি ক্রিটিকাল এরিয়া বা প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইতোমধ্যেই পরিবেশ আইন গ্রহণ করে তা রক্ষার করার উদ্যোগ নিচ্ছি। তা না হলে জাফলং, লালাখাল ও বিছানাকান্দি পরিবেশ বিনষ্ট করে দেয়া হচ্ছে।