পানির তলার রহস্যময় স্থাপনা- বিমিনি রোড!

Author Topic: পানির তলার রহস্যময় স্থাপনা- বিমিনি রোড!  (Read 805 times)

Offline silmi

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 209
  • Test
    • View Profile
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানারকম স্থাপনা। মানুষ সবসময়েই চেষ্টা করেছে নিজের কারিগরী দিয়ে আরো সুন্দর আর মনরোম কিছু তৈরি করতে। কিন্তু সেসবই মাটির ওপরে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ মাঝে মাঝে মাটির ওপরের এই স্থাপনাগুলোকে টেনে নিয়ে গিয়েছে নীচে। তাদের কোনটা গিয়েছে হারিয়ে। আর কোনটা রয়ে গিয়েছে পানির তলাতেই। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। আসুন জেনে নিই এমনই প্রশ্নে ভরা রহস্যময় পাঁচ ডুবন্ত স্থাপনা কথা। আজকে রইল সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব- বিমিনি রোড।

 
এই কী সেই আটলান্টিস?

গ্রীক পৌরাণিককাহিনীকে অনুসরণ করে আজ অব্দি মানুষ সাগরের এখান থেকে ওখানে খুঁজে বেড়াচ্ছে আটলান্টিস সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ। সময়ে সময়ে পানির নীচে খুঁজে পাওয়া অনেক ধ্বংসাবশেষের সাথেই তাই আটলান্টিসের যোগসূত্র মেলাতে চেয়েছে তারা। এ তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বিমিনি রোডও। কিন্তু সত্যিই কি এটা হারিয়ে যাওয়া আটলান্টিসের অংশ?

 
বিমিনি রোড

বাহামা দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত উত্তর বিমিনির ধারে পানির গভীরে অবস্থিত অন্যতম একটি রহস্যময় স্থাপনার নাম এই বিমিনি রোড। জে আকৃতির প্রায় ০.৫ মাইল এই স্থাপনাটিতে রয়েছে বিশাল কিছু চারকোনা আর আধ চারকোনা ব্লক। যেগুলোকে বসানোও হয়েছে জ্যামিতিক হিসেবে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন এটি মানুষের স্থাপনা নয়। প্রকৃতিকেই এর পেছনে থাকা কারণ বলে মনে করেন তারা। তবে অন্যদের মতে প্রকৃতির পক্ষে এতটা নিয়ম মেনে কোন স্থাপনা করা সম্ভব নয়। তারা মানুষের সৃষ্টি বলেই মনে করেন বিমিনি রোডকে। ভাবেন প্রাচীন কোন মন্দির বা স্থাপনার অংশ এটি। বিশেষ করে আটলান্টিসের অংশ বলেও মনে করা হয় একে।

 
আবিষ্কারের গল্প

উত্তর বিমিনিদ্বীপের আশাপাশে সাঁতার কাটবার সময় হঠাৎ করেই এক ডাইভার আবিষ্কার করে বসে সাগর থেকে ১৮ ফুট নীচে অবস্থিত মানুষের তৈরি ১৮ টি পাথরকে। সেটা ছিল ১৯৬৮ সাল। বিমিনি রোডকে নিয়ে হৈ চৈ এর সেই শুরু। প্রায় আধ মাইল পর্যন্ত রাস্তার মতন করে সাজানো রয়েছে পাথরগুলো। বিশেষজ্ঞরা ছুটে আসেন খবর পেয়ে। দেয়াল বা রাস্তার অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন তারা ধ্বংসাবশেষটিকে। সবার মনে আশা জেগে ওঠে আটলান্টিসকে পাওয়ার। তবে সবার এত আশায় পানি ঢেলে দেন বিমিনিকে মানুষ নয়, প্রকৃতির সৃষ্টি বলে দাবী করা বিশেষজ্ঞরা।

 
মানুষ নাকি প্রকৃতি- স্রষ্টা কে?

সাই ফাই চ্যানেল থেকে বিমিনি রোডের ওপর করা একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায় যে কেবল এই পাথরই নয়, এদের নীচেও রয়েছে ঠিক একই আকৃতির কিছু চারকোনা পাথর। আর তাই খুব সহজেই ধারণা করা হয় এটা কোন একটি দেয়ালের অংশ। সুতরাং, এটি মানুষের তৈরি। কিন্তু সেখানেও এটা কিন্তু রয়ে যায়। পানির ক্রমাগত ধাক্কাই পাথরের নীচে একই আকৃতির পাথর তৈরি করতে সাহায্য করেনি তো? প্রশ্নের উত্তর জানান যায়নি। বরং আটলান্টিসের অংশ হওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে আরো অনেক বেশি রহস্যময় অন্ধকারেই চলে গিয়েছে বিমিনি রোড!