Faculty of Allied Health Sciences > Public Health
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিট জুস
(1/1)
Md. Fouad Hossain Sarker:
উচ্চরক্তচাপে ভোগেন না, আজকাল এমন ব্যক্তি খুব কম দেখা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর কিছু না বাড়ুক, উচ্চরক্তচাপ বাড়বেই। অপেক্ষাকৃত কম বয়েসর ব্যক্তিরাও কিন্তু এতে আক্রান্ত। দৈনন্দিন জীবনের অনিয়ম, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের জন্য উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে সুখের কথা হচ্ছে, হাতের কাছে এমন কিছু খাবার আছে, যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বিট জুস এমনই একটি পানীয়।
কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এক গ্লাস বিটের জুস পান করলে উচ্চরক্তচাপ কমে যায়। এমনকি যেসব রোগী চিকিৎসার মাধ্যমেও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন, বিট জুস পান করে তারাও উপকৃত হয়েছেন। কী আছে বিটে? বিটের জুস কীভাবে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে? উত্তর খুব সহজ- বিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অজৈব নাইট্রেট পাওয়া যায়। মানুষের শরীরের ভেতরে এ নাইট্রিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। এ নাইট্রিক অ্যাসিড রক্তনালিগুলো বিস্তৃত এবং প্রশমিত রাখে। ফলে রক্ত সঞ্চালনে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি হয় না এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
এক ফলাফলে দেখা যায়, হাইপারটেনশন রোগীদের বিট জুস পান করানোর তিন ঘণ্টা পর রক্তচাপ ৮ থেকে ১০ পয়েন্ট কমে গেছে।
আরেক দল গবেষক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, যারা তিন সপ্তাহে বিট জুস পান করেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে এবং দীর্ঘ দিন রক্তচাপ নেমে গেছে। তবে স্থায়ীভাবে এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে দেখা হচ্ছে।
বিট জুস ক্রীড়াবিদদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যুবকেরা বিট জুস পান করে, হাঁটাহাঁটি ও দৌড়াদৌড়ি করে কম অক্সিজেন গ্রহণ করেও শক্তিশালী হতে পারেন।
পর্যবেক্ষণ হতে জানা যায়, যারা বিট জুস পান করে সাইকেল চালান, তারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। বিট জুস ক্যান্সার প্রতিরোধক। বিট জুস পানে মলমূত্র লাল রঙ হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমতে, যাদের কিডনি সমস্যা আছে তারা বিট জুস, স্যুপ বা রান্না খাবেন না।
- See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/11/20/59134.php#sthash.1bppqjSB.dpuf
Navigation
[0] Message Index
Go to full version