Faculty of Allied Health Sciences > Public Health
ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপি
(1/1)
Md. Fouad Hossain Sarker:
রোজ সকালের হালকা কুয়াশা ইতোমধ্যেই জানান দিয়েছে শীতের আগমনি বার্তা। এর মধ্যেই শীতের সবজিতে ভরে উঠছে কাঁচা বাজার। ফুলকপি শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; যা রান্না কিংবা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়। আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'এ', 'বি', আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি রয়েছে। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
জেনে নিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা ছাড়াও ফুলকপির আরও নানা গুণের কথা-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। এতে সালফোরাফেন নামে এমন এক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই উপাদানটি ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
হজমে সাহায্য করে
ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান রয়েছে, যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এছাড়া এর ফাইবার খাবার হজম করতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
ফুলকপি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। এর সালফোরাফেন নামের উপাদানটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং কিডনি সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, ধমনীর ভেতরে প্রদাহ রোধেও কাজ করে ফুলকপি।
দহন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে
ফুলকপিতে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’ নামে এমন এক উপাদান রয়েছে; যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়।
মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে
ফুলকপিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন-বি রয়েছে, যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেননা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়।
শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখে
এতে বিদ্যমান ভিটামিন এবং মিনারেল শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি,ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। তাই সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে প্রতিদিন এই খাবারটি খান।
দাঁতকে সুরক্ষা করে
অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় ফুলকপি। কারণ এতে রয়েছে দাঁত-মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইড। উপাদানগুলো দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি ও বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সতর্কতা
উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসঙ্কোচে ফুলকপি খেতে পারেন। কেননা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং কোলেস্টেরল কমাতে এই সবজিটি আমাদের বন্ধু। এতে প্রচুর পরিমাণে অাঁশ রয়েছে; যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক। তবে যারা কিডনি ও থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও কেউ খেতে চাইলে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সূত্র: ওয়েবসাইট। - See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/11/16/58458.php#sthash.uVkTWSS7.dpuf
Navigation
[0] Message Index
Go to full version