সেলিনা মুস্তাফা আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এইচআর কাইটসের পরিচালক। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল ব্যাংক 'সান ট্রাস্ট'-এ। ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম এশীয় কর্মকর্তা তিনি। ২৬ বছর আগে চলে যান আমেরিকা। সমপ্রতি বাংলাদেশে এসেছেন তিন সপ্তাহের সফরে। ১৫ মে বাতিঘরের পক্ষ থেকে এই বাংলাদেশি ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ তরুণদের ক্যারিয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন তার কিছু কত কথা।
দীর্ঘদিন ধরে তরুণদের নিয়ে কাজ করছেন। তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে আমাদের কী করণীয়?
তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে। তবে এ দেশের তরুণদের বিশ্ববাজারের সঙ্গে পরিচয় করাতে গিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রয়োজন নেতৃত্বদানের ক্ষমতা এবং কাজের দক্ষতা। অনেকের মধ্যেই এ দুটি জিনিসের অভাব। এ ছাড়া তাদের প্রশিক্ষণও দরকার। ঝুঁকি নেওয়ার সাহস থাকতে হবে। জানতে হবে কাজের ক্ষেত্রে নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার দ্বারা নতুন কিছু করে দেখাতে হবে। এর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একটা চাকরির জন্য ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করতে হবে- এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে অভিভাবকদেরও।
ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক তরুণের নেতিবাচক ধারণা থাকে। কিভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা সম্ভব?
শিখতে হবে ভুল থেকে। বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেকেই। অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করতে হবে।
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও দক্ষতা উন্নয়নের কৌশল নিয়ে কিছু বলুন?
ক্যারিয়ার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবার আগে প্রয়োজন লক্ষ্য ঠিক করা। দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শেখার পাশাপাশি কোনো কিছু সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করতে হবে।
আপনি বহুদিন ধরে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করছেন। তরুণদের মূল সমস্যা কী বলে মনে করেন?
অনেকেই অল্প সময়ের মধ্যেই সব কিছু করতে চায়। যেকোনো ভালো কিছুর জন্যই সময় দিতে হয়। কঠোর অনুশীলন ছাড়া কখনোই ভালো কিছু করা সম্ভব নয়।
অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। কোন পেশাটি তার জন্য উপযুক্ত, তা বুঝতে না পেরে হতাশ হন। এ সমস্যা সমাধানে আপনার পরামর্শ কী?
পশ্চিমা দেশগুলোতে নিজেদের আগ্রহের সঙ্গে সংগতি রেখে পেশা ঠিক করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আমাদের দেশের চিত্রটা ভিন্ন। তারা অনেক ক্ষেত্রেই এ সুযোগটি পায় না। চিন্তার ক্ষেত্রে সন্তানকে স্বাধীনতা দিতে হবে। তবে পথ দেখাতে সাহায্য করবে অভিভাবক। ভুল সবারই হয়। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
সৌজন্যেঃ কালের কণ্ঠ
- See more at:
http://www.priyo.com/2013/05/20/18733.html#sthash.elHU9ivB.dpuf