যাদের দার্জিলিং দেখার খুব শখ, মেঘের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে যারা পাহাড়ের মাঝে সৌন্দর্য খুঁজে বেড়ান তারা ঘুরে আসতে পারেন বান্দরবন !
বান্দরবান ভ্রমনের টুকিটাকি জেনে নিন:-
কি ভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে আপিন ২/৩ টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।
@ ঢাকা থেকে বান্দরবান ডাইরেক্ট =>
সৌদিয়া, এস আলম, হানিফ যেকোন গাড়িতে চেপে আপনি সরাসরি পৌঁছে যাবেন বান্দরবনে @ভাড়া পড়বে জন প্রতি #৬২০ টাকা
তাছাড়া আপনি প্রথমে রেল কিংবা গাড়িতে চট্টগ্রাম পৌঁছে তারপর সেখান থেকে সোজা পাহাড়ি কন্যা বান্দরবন
কোথায় থাকবেন:
বান্দরবনে থাকার জন্য বেশ ভালো কিছু হোটেল আছে এই যেমন @ হোটেল ফোর স্টার @হোটেল থ্রী স্টার @হোটেল থ্রী স্টার আরো অনেক মাজারি মানের হোটেল আছে
ভাড়া পড়বে রুম প্রতি ৫০০-৭০০ (নন এসি)
খাবার:
বান্দরবনে খুব ভালো মানের খাবার হোটেল নেই কিন্তু যেগুলো আছে আমি সিওর আপনি হতাশ হবেন না আর আপনি তো যাবেন ঘুরতে তাই না?
৮০-১২০ এর মধ্যে আপনি আপনার খাবার সেরে ফেলতে পারেন! তবে মানের চেয়ে দাম টা একটু বেশি
কি কি দেখবেন:
#মেঘলা#
খুব সুন্দর একটা লেককে ঘিরে এই পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে। বান্দরবন শহর থেকে খুব একটা দূরে নয় মাত্র ৭ কিলো। এইখানে আপনি পাবেন জুলন্ত সেতু আর রোপওয়ে কার আরো আছে লেকের পানিতে হাসের বোট আর ছোট্ট একটা চিড়িয়াখানা (একটা ভাল্লুক ছাড়া আর কিছুই নাই) তবে লেকের সচ্ছ পানি আর জুলন্ত সেতুতে ধাপাধাপি আপনার মন ভালো করে দিবে!
#নীলগিরি#
কি নেই নীলগিরিতে? এই নীলগিরি গল্পের চেয়েও সুন্দর মুহূর্তেই আপনার মন ভালো করে দিবে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আপনি বাধ্য হবেন ! সেখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালি আপনাকে ঘিরে রাখবে এক অন্য রকম জগতে! এই হল বাংলাদেশের দারজিলিং
#নিলাচল#
অনেকেই বলে থাকেন নীলগিরি আর নিলাচল দেখতে একই রকম তাই অনেকেই একটা দেখলে আরেকটা মিস করেন তাহলে আমি আপনাকে অনুরোধ করব শুনা কোথায় কান না দিতে নিলাচল এমন এক জায়গা যেখানে হাত বাড়ালেই পাবেন মেঘের ছোঁয়া ১৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত একটি পাহাড় কিভাবে যে আপনাকে বিমোহিত করে দিবে বুজতেই পারবেন না ! ছবি তোলার জন্য অনেক সুন্দর লোকেশন আছে !
#স্বর্ণ মন্দির#
এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনালয় কিন্তু এখানে কখনো গৌতম বৌদ্ধ আসেন নি ! পাহাড়ের উপরে খুব সাজানো গুছানো একটা মন্দির তবে আপনি থ্রি কোয়ার্টার পরে ঢুকতে পারবেন না টিকেট মাত্র ২০ টাকা !
#শৈল প্রপাত#
নাম টা শুনলেই আমি হারিয়ে যাই পানির কল কল শব্দে, এই জায়গাটা এতটাই সুন্দর আপনি এই স্মৃতি কখনোই ভুলতে পারবেন না। তবে এইটা দেখার উত্তম সময় বর্ষার ঠিক শেষে তাহলে ভরা যৌবনে তাকে দেখতে পাবেন
#মিলনছড়ি#
এখানে একটি পুলিশ পাড়ি আছে। পাহাড়ের অতি উচ্চতায় রাস্তার ধারে দাড়িয়ে পূর্ব প্রান্তে অবারিত সবুজের খেলা এবং সবুজ প্রকৃতির বুক ছিড়ে সর্পিল গতিতে বয়ে সাঙ্গু নামক মোহনীয় নদীটি।
#সাঙ্গু নদী#
শহরের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা নদীটি মিশে গেছে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে বাংলাদেশে যে কয়টি নদি উৎপত্তি হয়েছে তার মধ্যে সাঙ্গু অন্যতম ! এই নদীর ধারে গড়ে উঠেছে বান্দরবন শহর। কি অপূর্ব এই নদী না দেখলে এর রূপ সম্পর্কে আমার বলা টা কম হয়ে যাবে
স্থানীয় চাদের গাড়িতে চড়ে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন বান্দরবন প্রতিদিন ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা লাগবে !
খুব মিস করি বান্দরবনে কাটানো ৩ টা দিন আবার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে মেঘ-পাহাড়ের দেশে!