চুল পড়ে প্রতিদিনই। কিন্তু কারও হয়তো একটু বেশিই পড়ছে। কেন পড়ছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। আছে নানা ভুল ধারণাও।
১. বেশি বেশি শ্যাম্পু করলে বেশি চুল পড়ে, এ ধারণা ঠিক নয়। বরং চুল ও মাথার ত্বক পরিচ্ছন্ন না রাখলে হতে পারে খুশকি, সংক্রমণ, যা আরও খারাপ।
২. চুল বারবার কেটে ছোট করলে চুল পড়া কমে ও চুল ঘন হয়, এ ধারণাও ভুল। চুল কাটার পর তা একটু ঘন দেখায়। কারণ, আমাদের চুল গোড়ার দিকেই পুরু। তাই বলে বারবার চুল কাটলে চুল ঘন হবে এর কোনো ভিত্তি নেই।
৩. কেউ কেউ বলেন টুপি বা স্কার্ফ বেশি পরা হলে চুল বেশি পড়ে। এটাও ভুল। এমনিতেই প্রতিদিন গড়ে ১০০টির মতো চুল পড়তে পারে। চুলেরও জীবনচক্র আছে। মাথায় টুপি বা স্কার্ফ পরার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
৪. রং করা, সোজা বা কার্ল করা ইত্যাদির কারণে চুল পড়ার হার বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলো চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য খারাপ।
৫. বয়স বাড়লেই চুল পড়ে, এটাও ঠিক নয়। অনেকের কম বয়সে এমনকি ২০ বছরের পরই চুল পড়ে একেবারে টাক পড়তে শুরু হতে পারে। মেয়েদের গর্ভাবস্থা বা এর আগে-পরে হরমোনের তারতম্যের জন্য চুল বেশি পড়তে পারে। তবে চুল পড়া বংশগত, এটা অনেকাংশে ঠিক। ছেলেদের টাক মাথা অনেক সময় বংশগত হতে পারে।
৬. চুল পড়ার কোনো চিকিৎসা নেই—এই ধারণা ঠিক নয়। চুল পড়ার কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা করলে তা অনেকাংশেই নিরাময় সম্ভব।
ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান
চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল
For more:
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/757291/