Entertainment & Discussions > Life Style

প্রফুল্ল থাকতে কণ্ঠস্বরে আনন্দ ধরে রাখুন

(1/1)

sharifmajumdar:
মূলত কণ্ঠস্বর শুনে আমরা নির্ধারণ করে থাকি যে, সে ব্যক্তি আনন্দে আছেন, কিংবা বিষণ্ন-বিরক্ত-উদ্বিগ্ন নাকি আসলেই কেমন রয়েছেন। কেবল অন্যের বেলায় নয়; নতুন একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে- আমরা নিজেদের ক্ষেত্রেও একইভাবে বিচার করে থাকি।

এ জন্য গবেষকরা একটি ডিজিটাল অডিও প্লাটফর্ম নির্মাণ করেছেন। যেখানে গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ‘সাউন্ড হাইপার’ শোনানো হয়। অর্থাৎ ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে কথা বলেন, কিন্তু সেই কথা বিভিন্ন আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাদের কানে আসে।

বক্তার মূল বক্তব্য ওঠা-নামাসহ নানা বিষয়ে পরিবর্তন এনে অনেক বেশি ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী এবং উত্তেজিত শোনানো হয়। এতে দেখা যায়, যখন তারা পরিবর্তিত কণ্ঠস্বর শোনেন- তাদের মানসিক অবস্থা আবেগের সেই স্তরে পৌঁছে যায়। স্বর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন মানসিক অবস্থা দেখা দেয়। তাই তো গবেষকদের বক্তব্য, সাধারণভাবে প্রফুল্ল থাকতে কণ্ঠস্বরে আনন্দ ধরে রাখুন।

গবেষণার প্রধান গবেষক ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চার (সিএনআরএস) জাঁ-জুলিয়ান অ্যাকোটোরিয়া বলেন, ‘ভোকাল ইমোশন’র পেছনের কৌশল সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

‘অতীতের গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ তাদের আবেগ ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। যেমন- অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ না করা। আমরা জানতে চেয়েছিলাম নিজেদের আবেগ পরিবর্তনের বিষয় মানুষ কতটা সচেতন’।

গবেষণাকালে, অংশগ্রহণকারীদের ছোট গল্প পড়তে দেওয়া হয়। উচ্চস্বরে পড়ার সময় তারা হেডসেট’র মাধ্যমে তাদের পরিবর্তিত কণ্ঠস্বর শুনতে পান। এতে দেখা যায়, কণ্ঠস্বরে যে পরিবর্তন করা হয়েছে- সে বিষয়ে একেবারেই অসচেতন তারা। এমনকি এ স্বর শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আবেগ এবং মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে, সে বিষয়টি পর্যন্ত তারা ধরতে পারেনি।

এর অর্থ দাঁড়ায়, মানুষ কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সব সময় তাদের কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রণ করে না।

গবেষণার প্রসঙ্গে সুইডেন ল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিটার জনসন বলেন, এই কাজটি করায় অনেক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যারা ‘মুড ডিজঅর্ডার’ রোগে ভোগেন তাদের চিকিৎসায় নতুন দরজা খুলে গেছে।

source: banglanews24.com

Navigation

[0] Message Index

Go to full version