Faculty of Allied Health Sciences > Public Health
বিষণ্নতারোধে নিজেই পারঙ্গম
(1/1)
sharifmajumdar:
বিষণ্নতায় ভুগছেন? মনে হচ্ছে কোথাও কেউ নেই? জীবনের ভারে আপনি ক্লান্ত?
এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে কিছু সহজ উপায় মেনে চলতে পারেন। দেখবেন, নিজেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষণ্নতার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসেছেন। দেখে নিন চটজলদি।
ব্যায়াম
ব্যায়াম আমাদের মাংসপেশি শিথিল করে, স্ট্রেস কমায় ও মন ভালো রাখবার হরমোন নির্গত করে। বিষণ্নতা প্রতিরোধে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন। গড়ে প্রতি ১০ মিনিট হাঁটার পরবর্তী দুই ঘণ্টা মুড ভালো রাখে বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ঘুম
ঘুম কম হলে মেজাজ খিটমিটে হয়, ফলে বিষণ্নতা মনকে প্রভাবিত করে। রাতে অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমান। এর কম ঘুমালে আপনার বিষণ্ণতা প্রতিরোধে আপনি নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। যদি নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমান বা ঘুম কাতুরে হয়ে থাকেন, তবে ব্যায়াম বাড়ান।
বিএমআই
মোটা না হলেও আপনি নিজে থেকেই বছরে একবার বিএমআই পরিমাপ করান। মুটিয়ে যাওয়া কেবল সৌন্দর্যহানী নয়, এটি বিশাল একটি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বটে। বিএমআই দেখে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য কতটুকু ঝুঁকিতে রয়েছে তা জেনে নেওয়া এবং কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা দরকার।
কোমরের মাপ
চর্বি কোমরে জমা হয়। এটি তো তবু দৃশ্যমান। কিন্তু অদৃশ্য চর্বি পরতে পরতে আপনার বিভিন্ন অরগানে যেমন- হৃদপিণ্ড, লিভারে জমা হয়। যদি আপনি নারী হন এবং কোমরের মাপ ৩৫ ইঞ্চি বা ৮০ সেন্টিমিটারের বেশি হয় তবে আপনি ঝুঁকিতে রয়েছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ ইঞ্চি বা ১০২ সেন্টিমিটারের বেশি হলে ঝুঁকিপূর্ণ। বছরে অন্তত একবার কোমরের মাপ দেখুন।
অন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি
যদি আপনার অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে যেমন- থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস তবে চিকিৎসা নিন।
রক্ত পরীক্ষা
কী কী রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে সেটি আপনার বর্তমান লক্ষণের উপর নির্ভরশীল।
সুষম খাদ্য
উচ্চ আঁশ ও কম চর্বিযুক্ত খাদ্য বিষণ্নতা প্রতিরোধ করে। ফল, শাক সবজি, আঁশযুক্ত শস্য দানা, সামুদ্রিক মাছ, ভিটামিন বি ও ডি, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।
সামাজিক জীবনকে ‘হ্যাঁ’
নিঃসঙ্গতার ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসুন। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। হাসুন। বিশ্বস্ত বন্ধুকে বলুন ‘আমি বিষণ্ণ’। নিজেকে সময় দিন।
স্ট্রেস
স্ট্রেসের কারণ খুঁজে বের করে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করুন। তা না হলে প্রয়োজনে বিকল্প উপায় বেছে নিন। মেডিটেশন বা যোগ ব্যায়াম করুন।
ইতিবাচক মনোভাব
ইতিবাচক মনোভাব রাখুন। হতাশার নীল চশমা জোর করে হলেও খুলে ফেলুন। ধরুন বস বাড়তি কাজ চাপালেন, ভাবুন বস আমাকে বিশ্বাস করে এবং আমি যোগ্য বলেই কাজটি দিয়েছেন। আসুন, বিষণ্ণতার ছোবল থেকে বেরিয়ে এসে হেসে বাঁচি।
source: banglanews24.com
nasima.nfe:
Thanks. We need to know the tips as we are in continuous stress now.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version