অনেকে হাঁটার চেয়ে গাড়িতে চলতে-ফিরতে পছন্দ করেন। আবার কাজের ঠেলায় শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। এর কারণে হাড়ে বিশেষ একটি উপাদান জমা হয়ে এর জয়েন্ট জয়েন্ট ব্যথা সৃষ্টি হয়। হাত-পায়ের গোড়ালি, পায়ের বিভিন্ন অংশে, হাঁটু ও পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। চলতে-ফিরতে গেলে ব্যথা লাগে।
এই রোগের ফলে মানুষের শরীরে সক্ষমতা ও পেশির কাঠামোর ওপরে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এই ব্যথা গেঁটেবাতসহ হাড় সংক্রান্ত নানা রোগ সৃষ্টি করে। এটাতে মানুষ মরে না। কিন্তু সারা জীবন ভোগায়। শুতে-বসতে-খেতে গিয়ে এটি জ্বালা দেয়। অসহ্য করে তোলে মানবজীবন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যঘাত ঘটায়। ব্যথার কারণে অনেকে রাতে ঘুমাতেও পারে না। পায়ে ব্যথার ফলে হাড়, সন্ধি, রগ, পেশিতে মারাত্মক জখম দেখা দেয়। রক্ত সঞ্চালনের প্রতিবন্ধকতার কারণে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
এ রোগ বাতলে দিতে বিশেষজ্ঞরা একটি সাধারণ উপায়ের কথা বলেছেন। এ পদ্ধতি প্রয়োগের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যথা প্রশমন হবে। আরাম পাবেন। শরীরে শক্তি জোগাবে।
এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে আপনাকে খুব বেশি উপাদানের দরকার হবে না। এগুলো আমাদের ঘরে থাকে সব সময়। একটি কমলা, একটি লেবু ও দুই টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া, এক চা চামচ আদার গুঁড়া, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, টেবিল চামচের এক-চতুর্থাংশ গোল মরিচের গুঁড়া এবং দুই কাপ আনারস ও দুইটি সেলারির ডাটা (আফিম) নিন।
প্রথমে লেবু ও কমলা ছুলে নিন। সঙ্গে সতেজ আদা ও হলুদের গুঁড়া মেশান। এরপর আনারস ছুলে নিন। সেগুলো ব্ল্যান্ডার দিয়ে পিষে ফেলুন। এগুলো অবশ্যই রাসায়নিক মুক্ত ফল হতে হবে। এসব উপাদান ভালো করে যন্ত্রের সাহায্যে পিষে নিন। এগুলো জুসের মতো হওয়ার পর খাওয়া উপযোগী হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওপরের আলোচিত উপাদানগুলোতে ব্যথা কমানোর উপাদান থাকে, যা আপনার শরীরের জয়েন্ট জয়েন্ট ব্যথা দূর করতে দারুণ কাজে লাগবে।
তথ্যসূত্র : হেলথ অ্যান্ড হেলথি লাইভ ডটকম।