পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসছে একটি গ্রহাণু। ৫ মার্চ ঘটতে পারে ঘটনাটি। পৃথিবীর ৯ হাজার থেকে ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করলেও গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলেই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রহাণুটির ওপর নজরদারি করছেন। তাঁরা ২০১৩ সালে এই গ্রহাণুটির নাম দেন ‘টিএক্স ৬৮’।
গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীর কোনো ক্ষতি না হলেও এটি চাঁদের চেয়েও পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। ১০০ ফুট ব্যাসের এই গ্রহাণুটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরেও একবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে। এ ছাড়াও পরবর্তী সময়ে ২০৪৬ ও ২০৯৭ সালে পৃথিবীর কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটির।
গবেষকেরা বলছেন, নিকটতম সময়গুলো বিবেচনায় ধরলেও পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুটির সংঘর্ষের আশঙ্কা ক্ষীণ। তবে এর ওপর আরও নজরদারি দরকার বলে মনে করেন তাঁরা।
গবেষকেরা বলছেন, গ্রহাণুটির কক্ষপথ সম্পর্কে সুনিশ্চিত নন তাঁরা। গ্রহাণুটিকে ঠিক কোথায় দেখা যাবে, সেটি তাঁদের পক্ষে অনুমান করা শক্ত। তবে শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে এর গতিবিধির ওপর নজরদারি করার ঘোষণা দিয়েছে নাসার গবেষকেরা।
২০১৩ সালে ৬৫ ফুটের মতো একটি গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে ভেঙে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কের ওপর পড়ে যাতে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও দেড় হাজার মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: আইএএনএস ও রয়টার্স।