Entertainment & Discussions > Life Style

নারীদেরকে কিছু মূল্যবান উপদেশঃ

(1/1)

myforum2015:
"বিসমিহি তা'লা"
যেমন পিতামাতার রাজি-খুশির সাথে সন্তানের জান্নাত সম্পর্কিত, তেমনি স্বামীর রাজি-খুশির সাথে স্ত্রীর জান্নাত সম্পর্কিত। তাই, স্বামীর ভালবাসা ও প্রীতি অর্জন করার জন্য মুসলিম নারীদেরকে কিছু মূল্যবান উপদেশঃ
(১) বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে, কপালে চুম্বন করা। স্বামীর খোশামোদ-তোষামোদ করা হল স্বামীকে অনুগত রাখার সহজ পন্থা।
(২) স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস্তু থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা। যেমন গরমের দিনে স্বামী ঘরে আসলে পারলে ঠান্ডা পানি/শরবত দেয়া।
(৩) সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা (রুপ, জ্ঞান, শৌর্য-বীর্য) করা। সম্মান ও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা। যেমন, আপনি বলে সম্বোধন করা উত্তম।
(৪) স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।
(৫) সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা। স্বামীর মন মেজাজ বুঝে মাঝে মাঝে খুনশুটি-খোশগল্প করা।
(৬) স্বামীর জন্য সবসময় নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া।
(৭) স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে। হাসি মুখে কথা বলা।
(৮) সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা। স্বামীর সাধ্যের বাইরে কোন কিছু আবদার না করা। স্বামীর হাদিয়ায় খুশি থাকা।
(৯) নিজের এবং স্বামীর পিতা- মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ না করা।
(১০) সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো। একই প্লেটে/পাত্রে খেলে পরস্পর মহব্বত বৃদ্ধি পায়।
(১১) কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা পবিত্র কুরআনের সুরা হুজুরাতের ১৩নং আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না।” আর নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেন, তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা।”
(১২) স্বামী কখনো রাগান্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। সম্ভব হলে তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে নাহক রেগে থাকে তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে সমঝোতার ব্যবস্থা করা।
(১৩) স্বামীর মাতাকে নিজের পক্ষ থেকে (সাধ্যানুযায়ী) কিছু হাদিয়া-উপহার প্রদান করা। আল্লাহর রাজি-খুশির জন্য শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করলে সওয়াব পাওয়া যায়।
(১৪) সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর অভাব অনটনের সময় তাকে সহযোগিতা করা।
(১৫) স্বামীর অনুমতি ছাড়া; কখনই নিজ গৃহ থেকে বের না হওয়া।
(১৬) স্বামীর নির্দেশ পালন, তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করা।

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকল মুসলিম মেয়েদেরকে মূল্যবান এই নসীহতগুলো মেনে চলার তৌফিক দাণ করুক। (আমিন)
**সংগৃহীত ও আংশিক পরিমার্জিত

Emran Hossain:
Dear Brother

Thanking you for this post. I think as well as we advice to our Man (Husband of Wife).


Emran Hossain 

Navigation

[0] Message Index

Go to full version