তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০১৫: নানা সফলতা ও কিছু ব্যর্থতা

শামীম আহসান,
সভাপতি, বেসিস ও জেনারেল পার্টনার, ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল
সময়ের পরিক্রমায় এসেছে নতুন বছর। চোখ বন্ধ করলেই স্মৃতিতে ভেসে উঠে পুরাতন বছরের নানা ঘটনাপ্রবাহ। উঠে আসে সফলতা ও ব্যর্থতা। তেমনিভাবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নানা সফলতা ও কিছু ব্যর্থতার ঘটনা ঘটেছে। এই খাতের উন্নয়নে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, দেশব্যাপি ইন্টারনেট সপ্তাহ আয়োজন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পলিসি, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মতো যেমন অনেক অর্জন রয়েছে, তেমনিভাবে সাময়িকভাবে ইন্টারনেটসহ সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের মতো অপ্রত্যাশিত ব্যর্থতাও রয়েছে।
নানা সফলতায় ২০১৫
একাধিক সম্মেলন আয়োজন: গতবছরের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে অন্তত ৪টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, প্রদর্শনী কিংবা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ফ্রেব্রুয়ারিতে আইসিটি বিভাগ ও আমাদের বেসিসের আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’, মে মাসে আইসিটি ডিভিশন, বেসিস, টেলিনর ও অ্যাকসেন্সার যৌথভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রথম আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন ‘ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট’, সেপ্টেম্বরে বেসিস, আইসিটি ডিভিশন ও গ্রামীণফোন মিলে দেশের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট উৎসব- ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’, ডিসেম্বরে আইসিটি ডিভিশন ও বাক্য মিলে ‘বিপিও সামিট’ এর আয়োজন করা হয়। এগুলোর মাধ্যমে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে তুলে ধরা, দেশে সফটওয়্যার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এক কোটিও বেশি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌছে দেওয়াসহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়েছে। সবগুলো আয়োজনেই বেসিসসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যান্য সংগঠনগুলো যৌথভাবে কাজ করেছে। এ চারটি আয়োজন দেখলেই মনে হয় বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির পরবর্তী গন্তব্যস্থল হতে বেশি দেরি নেই!

দক্ষ জনবল তৈরি: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে গতবছর বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে ও চলমান রয়েছে। প্রথমত, বেসিসের উদ্যোগে আগামী ৩ বছরে বিনামূল্যে ২৩ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চালু হয় স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) প্রকল্প, যা এখনও চলমান রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসইআইপি প্রকল্পের অধীনে জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এবছর চট্টগ্রামসহ দেশের প্রতিটি বিভাগে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু হবে। পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগেই বিআইটিএমের কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত করা হবে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও ইন্ডাস্ট্রি উপযোগি করে গড়ে তুলতে গঠন করা হয়েছে ‘বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম’। দেশের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ফোরামের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সম্মেলনের পাশাপাশি শতাধিক ক্যারিয়ার সেমিনার আয়োজন করেছে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম।
পলিসি উন্নয়ন: দেশের তথ্যপ্রযুুক্তি খাতের উন্নয়নে বেসিস নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রথমত, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি আনতে বেসিস ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আইটি কোম্পানি যাতে আইপিওতে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য স্মল-ক্যাপস পলিসি তৈরিতে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ বেসিস ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধিকে নিয়ে বৈঠক করেন। বেসিসের পক্ষ থেকে পলিসির খসড়া তৈরি করে দেওয়া যায়। যার ফলশ্রুতিতে প্রণয়ন করা হয় অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট রুলস। দ্বিতীয়ত, বেসিসের অনুরোধে সরকার এ খাতের ট্যাক্স রহিতকরণ আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতে ভ্যাট আরোপ হলেও বেসিসের অনুরোধে ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়। তৃতীয়ত, আইসিটি কোম্পানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ ফান্ড প্রাপ্তি সহজীকরণ করতে বেসিস বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দেয়। এছাড়া সফটওয়্যার আমদানিতে ই-ডেলিভারি এসআরও জারি, পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট পলিসিতে দেশীয় কোম্পানির অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা প্রদান, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট পলিসি (২০১৫-২০১৮) তৈরি, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, হাই-টেক পার্ক ও এসটিপি পলিসি তৈরিতেও ভূমিকা রাখে বেসিস।
কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং: বিদেশে বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্রান্ডিং, বিদেশি বিনিয়োগ আনা ও বিদেশে বাংলাদেশি কোম্পানির ব্যবসায় প্রসারে গতবছর বেসিসের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, উগান্ডা, হাঙ্গেরি, ব্রাজিল, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ডেনমার্ক, কাতার, ইউকে, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) বৈঠকসহ টাই সিলিকন ভ্যালি কনফারেন্স, সিবিট জার্মানী, সিবিট অস্ট্রেলিয়া, দুবাইতে জাইটেক্স টেকনোলজি উইক, ভারতে জিইএস, নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স ও জাপান আইটি উইকে অংশ নেয় বেসিসের সদস্য কোম্পানিরা। এসব আয়োজনে অংশ নিয়ে ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনেকেই সফলতা পেয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্স সুবিধায় সবগুলো চেম্বার: দেশের ৬৪ জেলা চেম্বারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স নেটওয়ার্কিং চালু করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট বাগডুম ডটকম (পুরাতন নাম : এখনই ডটকম) এর পৃষ্ঠপোষকতায় গত আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভিডিও কনফারেন্স নেটওয়ার্কিং চালু করা হয়। প্রতিদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাগুলোর সমস্যা, শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ ও তাদের প্রস্তুতি বিষয়ে সরাসরি জানার জন্যই এই সুবিধা চালু করা হয়।
এছাড়া গতবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনেক বড় ধরণের কাজ হয়েছে। যা আমাদের এই সম্ভাবনাময় খাতকে অনেকাংশে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ব্যর্থতার ২০১৫
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ: বছরের শেষের দিকে দুটি ঘটনা জন্ম দিয়েছে এই খাতের সবচেয়ে বড় সমালোচনার। একটি ইন্টারনেট বন্ধ। আরেকটি বেশকিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া। ১৮ নভেম্বর দেশে প্রায় এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট ইন্টারনেট সরবরাহও বন্ধ ছিল। যা তথ্যপ্রযুক্তি খাত তথা দেশের জন্য হুমকিস্বরুপ। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে নিরাপত্তা রক্ষার মতো ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিংবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ এর অনুমতি ছাড়াই দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া মোটেই সমীচীন নয়। আশাকরি আগামীতে এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটবে না। একই দিনে জননিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেয় দেশে ফেইসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার। দীর্ঘ ২২ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে ১০ ডিসেম্বর জনপ্রিয় এই মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হয়। ফেইসবুক বন্ধের ঘটনার রেশ তখনো কাটেনি। এমন সময় ১৩ ডিসেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয় খুদে ব্লগ লেখার জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টুইটার, ইন্টারনেটে কথা বলা ও ম্যাসেজিং অ্যাপ ইমো এবং ভয়েস, ভিডিও কল ও ম্যাসেজিংয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম স্কাইপ। তবে এদিন আমি জনাব সজীব ওয়াজেদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলি। তিনি এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে টেলিকম প্রতিমন্ত্রীকে ফোন করে সব খুলে দেওয়ার জন্য বলেন। ফলে বন্ধ করে দেওয়া সব সেবা চালু করা হয়। আইসিটি খাত থেকে আমাদের প্রত্যাশা ও দাবি হলো আগামীতে যাতে নিরাপত্তা অজুহাতে এসব সেবা বন্ধ না করে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিকল্প নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ইন্টারনেটের দামের বৈষম্য: বছরের শুরু থেকে আলোচিত ছিল দেশে ইন্টারনেটের দাম কমানোর প্রসঙ্গটি। গতবছর আবারও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়টি সামনে এলেও বছর শেষে ইন্টারনেটের দাম সেই আগের অবস্থানেই রয়ে গেছে। ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নিতে বললেও সে প্রক্রিয়ারও কোনও দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এছাড়া ইন্টারনেট স্পিডেরও নাজুক অবস্থা। সরকার ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ফাইবার অপটিক সংযোগ পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও সেটি এখনও দৃশ্যত বাস্তবায়ন হয়নি। সাধারণ গ্রাহককের বাড়ি পর্যন্ত এই সুবিধা না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন অনেকটাই স্থবির হয়ে যাবে।
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ: সফটওয়্যার পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ও পেটেন্ট আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণ ডেভেলপাররা কিংবা বেসিসের সহ¯্রাধিক সদস্য কোম্পানি নানা রকম অ্যাপ্লিকেশন, সফটওয়্যার তৈরি করছে। কিন্তু মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ বা কপিরাইট আইনের জোরালো প্রয়োগ না থাকার কারণে দেখা যাচ্ছে কিছুদিন পরেই সেটির সোর্সকোড চুরি করে আরেকটি অ্যাপ্লিকেশন, সফটওয়্যার তৈরি করছে। ফলে মূল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে, তারা নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। দেশের সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে মেধাস্বত্ব আইন সংরক্ষণ করা জরুরি। বেসিসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দাবি জানানো হলেও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে গতবছরে সংশ্লিষ্ঠদের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। আশাকরি এ বছর সরকার ও সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে জোর গুরুত্ব দেবে। এছাড়া জনগনকে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ও কপিরাইট বিষয়ে সচেতন করে তোলা হোক এবং কঠোরভাবে পাইরেসি দমনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির পরবর্তী গন্তব্যস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের সঙ্গে আমাদের অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডাস্ট্রি সবারই সদিচ্ছা রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে গতবছর পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপে অনেক ভালো কাজ হয়েছে। আশাকরি এবছর এই ধারাবাহিকতা আরও গতিশীল হবে। আমরা আশা করতেই পারি যে, কাংখিত সময়ের আগেই পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হবে তথ্যপ্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ ও উন্নত এক নাম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’।
…………………………………………………………………………………………………………………………………..
জনাব শামীম আহসান বেসিস সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদেও রয়েছেন। এছাড়া ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সেরও সদস্যও জনাব শামীম।
দেশের সুপরিচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাগডুম ডটকমের চেয়ারম্যান এবং সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ই-জেনারেশন লিমিটেডের চেয়্যারম্যান হিসাবেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শামীম। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ‘সেরা তরুণ উদ্যোক্তা’ পুরস্কারপ্রাপ্ত এ সংগঠক ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে চলেছেন।