যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো মরুভূমিতে তৈরি হচ্ছে নতুন এক শহর। ৩৫ হাজার নাগরিকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সেই শহরে থাকবে আলাদা ব্যবসা কেন্দ্র, আবাসিক এলাকা, শপিং মল আর চার্চ। কিন্তু এতে কখনোই থাকবে না কেউ। বরং নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কার্যক্ষমতা নিয়ে চলবে নানা পরীক্ষা।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে ১৫ বর্গ মাইল জায়গা জুড়ে ‘সাইট (সেন্টার ফর ইনোভেশন, টেস্টিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন)’ শহরটি তৈরি করছে একটি টেলিকমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠান। কেবল নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্যই তৈরি হচ্ছে শহরটি।
“মূল লক্ষ্যটাই হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যাতে দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি না করে নতুন পণ্য, সেবা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির কার্যক্ষমতা যাচাই ও প্রমাণ করা যায়।”—‘সাইট’ নিয়ে এভাবেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওই প্রকল্পের পেছনে মূল প্রতিষ্ঠান পেগাসাস গ্লোবাল হোল্ডিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্ট ব্রামলি।
মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চালকবিহীন রোবোটিক গাড়ির কার্যক্ষতা থেকে শুরু করে বিকল্প শক্তির উৎসের মাধ্যমে বড় পরিসের বাসস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহের প্রকল্প নিয়ে পরীক্ষা চালানো হবে ‘সাইট’-এ।
আর ২০১৮ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে মরুভূমির শহরটির সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ।
“এখানে নতুন অনেক কিছুই এনে এর সহ্যক্ষমতা যাচাই করে দেখে অপ্রত্যাশিত ফলাফলগুলো খুঁজে বরে করতে পারবেন আপনি।”—বলেন ব্রামলি।
“এটা এমন একটা জায়গা হবে যেখানে শুধু নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবক এবং নতুন নতুন চিন্তাধারা যাচাই করে দেখা হবে না, বরং এদের মধ্যে নতুন যোগাযোগ সৃষ্টি হবে।”— যোগ করেন তিনি।
আর নিজের যে কোনো পণ্য ও সেবার কার্যক্ষমতা পরখ করে দেখতে চান এমন সবার জন্যই ‘সাইট’ উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্রামলি।
বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গবেষণা সংস্থা এবং আধুনিক প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যন্ত ‘সাইট’ ব্যবহারে আগ্রহী হবে বলে আশার কথা জানিয়েছে পেগাসাস গ্লোবাল।