বাংলাদেশ অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে

Author Topic: বাংলাদেশ অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে  (Read 1070 times)

Offline habib

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 112
  • Test
    • View Profile
সৌরভ গাঙ্গুলীর সাক্ষাৎ​কার
বাংলাদেশ অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে


সৌরভ গাঙ্গুলী: উত্তরার রূপায়ন সিটিতে প্রথম আলোর মুখোমুখি

যুব ক্রিকেট দলের সদস্য, ভারতীয় দলের সাধারণ সদস্য, অধিনায়ক, ধারাভাষ্যকার—বিভিন্ন ভূমিকায় বাংলাদেশে এসেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। এবার এলেন রূপায়ন সিটি উত্তরার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। নিজের খেলোয়াড়ি ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে মুখোমুখি হলেন প্রথমআলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাইর ইকবাল

* বাংলাদেশে আসাটা আপনার জন্য নিয়মিত ব্যাপারই । এ দেশে প্রথম সফরের স্মৃতিটা মনে পড়ে?

সৌরভ গাঙ্গুলী: খুব মনে পড়ে। আমি প্রথম এখানে এসেছিলাম ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আসর ছিল ওটা। এরপর ১৯৯১ সালে, পশ্চিম বাংলা দলের হয়ে।

* ১৯৯২ সালে ভারতীয় দলে অভিষেকের পর মাঝখানে চার বছরের বিরতি।ভারতীয় দলে ফিরলেন ১৯৯৬ সালে।একেবারে নতুন চেহারায়।এই চার বছরের বিরতিকে কি আপনি আশীর্বাদ মনে করেন?

সৌরভ: না না, আশীর্বাদ মনে করার কোনো কারণই নেই। এই চারটি বছর ভারতীয় দলে নিয়মিত খেললে আমি হয়তো আর ৫ হাজার রান বেশি করতাম। তবে এটা ঠিক, প্রথমবার যখন আমার অভিষেক হলো, তখন বয়সটা ছিল অনেক কম। অনেক কিছু বোঝার বয়স তখনো হয়নি। মাঝখানের বিরতিটার সময় আমি অনেক কিছুই শিখেছি। পরিণত হয়েছি। তাই সে হিসেবে চার বছরের বিরতিটা আমার জন্য খুব একটা ক্ষতির কারণ হয়নি। তার পরও চার বছর কিন্তু অনেকটা সময়।

* আপনি ক্রিকেট ছেড়ে এখন অনেক কিছুই করছেন।টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন।ক্রিকেটের সঙ্গে সংস্কৃতিজগতের কি কোনো মিল খুঁজে পান, না
কি এই দুটি ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন? ক্রিকেটার ছিলেন, এখন জনপ্রিয় উপস্থাপক।এর রহস্যটাই বা কী?

সৌরভ: সম্পূর্ণ ভিন্ন। ক্রিকেট আর বিনোদন-সাংস্কৃতিক জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা। এই দুটির মধ্যে কোনো মিল নেই। আর ভিন্ন এই দুই জগতে সাফল্য পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ‘সেরা’ হতে হবে। জীবনে যা-ই করেন, সেরা হওয়ার বিকল্প নেই। আপনি ক্রিকেটই খেলুন কিংবা টেলিভিশন ব্যক্তিত্বই হোন, আপনাকে সেরাই হতে হবে। আর ক্রিকেটার ছিলাম, এখন উপস্থাপনা করছি কীভাবে—এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, উপস্থাপনাকে আমি অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছি।

* অনেকে বলেন, আপনার হাতে ভারতীয় ক্রিকেট দল একধরনের নবজন্ম লাভ করেছিল। ভারত পরিণত হয়েছিল আক্রমণাত্মক একটি দলে। এটা কীভাবে করলেন?

সৌরভ: এটা কিছুই না। খেলার একটা ধরন। আমাদের দলটা খুব ভালো ছিল। দারুণ ক্রিকেট খেলছিল। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়েরই মনোভাব ছিল আক্রমণাত্মক। প্রতিটি খেলোয়াড়ই লড়তে উদ্‌গ্রীব ছিল। আমি কিছুই করিনি।

* বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আপনার মূল্যায়নটা জানতে চাচ্ছি। কেমন লাগছে মাশরাফিদের খেলা?

সৌরভ: আমি খুবই খুশি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি দেখে। দুর্দান্ত উন্নতি করছে দলটা। ২০০০ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্টটা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম টেস্ট। সেই জায়গা থেকে আজকে বাংলাদেশের ক্রিকেট কত দূর চলে এসেছে। খুব ভালো লাগে। কেবল সিনিয়র ক্রিকেটে নয়, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশ অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে। এবারের যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটই তার প্রমাণ। যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অল্পের জন্য হেরে ফাইনালে ওঠা হয়নি বাংলাদেশের, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই তো শেষ পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপ জিতে নিল। যেহেতু বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে উন্নতি হচ্ছে, তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নত হতে বাধ্য।

* আপনি দুজন বিদেশি কোচের অধীনে খেলেছেন। আমি গ্রেগ চ্যাপেলের প্রসঙ্গ আনব না। যদি প্রশ্ন করি, জন রাইট ভারতীয় দলের উত্থানে কী ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন?

সৌরভ: গ্রেগ চ্যাপেল নিয়ে আমিও কিছু বলতাম না (হাসি)। জন রাইটের কথা বলি, ওর অনেক ভূমিকা। রাইট ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিদেশি কোচ। প্রথম যেকোনো কিছুরই একটা প্রভাব থাকে। রাইটেরও ছিল। সে ভারতীয় ক্রিকেটের চেহারাটাই বদলে দিয়ে গিয়েছিল।

* একটা ক্রিকেট দলে অধিনায়ক আর কোচের ক্ষমতার ভারসাম্য কেমন হওয়া উচিত? ধরুন, কোচ যদি তাঁর নিজের ক্যারিয়ারে খুব বড় তারকা হয়ে থাকেন...

সৌরভ: পুরো বিষয়টিই আসলে সমন্বয়। ব্যবস্থাপনা। আর কিছুই নয়। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, তখন আমার দলে পাঁচটা মহা মহা তারকা ছিল। কেউ কারও থেকে কম নয়—শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, অনিল কুম্বলে আর বীরেন্দর শেবাগ। আমার তো কোনো সমস্যা হয়নি। এখানে আপনার মনোভাবটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বোঝাপড়াটা নির্ভর করে অনেকটাই এর ওপর।

* শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, অনিল কুম্বলে কিংবা বীরেন্দর শেবাগ—এঁদের সম্পর্কে যদি আলাদাভাবে কিছু বলতে বলা হয় আপনাকে...

সৌরভ: (হেসে) দেখুন, এদের নিয়ে আমি নিজেই অনেকবার অনেক কিছু বলেছি। বলার তো কিছু বাকি নেই। শুধু বলি, ক্রিকেটার হিসেবে তারা ছিল অনন্যসাধারণ। ক্রিকেটার বলি কেন, মানুষ হিসেবেই তারা অন্য রকম। দুর্দান্ত। শচীন, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ, শেবাগ—সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। একসঙ্গে ১৫ বছর খেলেছি। দারুণ কেটেছে সেই সময়টা।

* ক্রিকেট কীভাবে একটা দেশকে ব্র্যান্ডিং করতে পারে?

সৌরভ: ব্র্যান্ডিং তো করছেই। বাংলাদেশের কথাই ধরুন। ক্রিকেট দিয়েই তো সারা দুনিয়া চেনে বাংলাদেশকে। শুধু ক্রিকেট কেন, যেকোনো খেলাধুলাই তো এই কাজটা করে। ব্রাজিলকে মানুষ তো চেনে ফুটবল দিয়েই। ব্রাজিলে খুব ভালো কফি হয় ঠিকই, কিন্তু বিশ্বে তাদের পরিচিতিটা তো ফুটবলের জন্যই। আর্জেন্টিনা নামটা বললেও তো প্রথমেই আসে ফুটবলের কথা। তাই নয় কি!

* ফুটবলের প্রসঙ্গ যখন এলই, তখন ভারতীয় ফুটবলে আপনার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টা চলেই আসে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) আপনার একটি দল আছে। এটা কেন করলেন? আপনি ফুটবলেরও ভক্ত, এটা সবাই জানে। কোনো নস্টালজিয়া কি কাজ করেছে, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ইত্যাদি?

সৌরভ: আইএসএল তো দারুণ একটা ব্যাপার। সত্যি কথা বলতে কী, আইএসএল সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের প্রভাবও ছাড়িয়ে গেছে এই আইএসএল।

* আপনি ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে যেখানে দলীয় রাজনীতি, দলীয় আনুগত্যের ওপর অনেক কিছু চলে, সেখানে একজন ‘ব্যক্তি সৌরভ’ তাঁর ব্যক্তিত্ব নিয়ে কতটুকু স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন?

সৌরভ: প্রশাসক হয়ে খুব ভালো লাগছে। যে যা-ই বলুক, আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আশা করি, হবেও না।

* আপনি শিক্ষাপ্রসারেও কাজ করছেন...

সৌরভ: তিনটি স্কুল করছি। বলতে পারেন, এটা আমার একটা শখ। বাচ্চাদের খুব ভালো লাগে। আমি চাই, শিক্ষিত হয়ে বড় হোক ওরা। ওখানে পড়াশোনা, খেলাধুলা সবই হবে। একটা স্কুল ১০ একর জমির ওপর দাঁড়াচ্ছে। আমি নিজে একটা ক্রিকেট একাডেমিও করছি। ওটা হচ্ছে ৫ একর জমির ওপর।

* তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠান করছেন পশ্চিম বাংলায়, এর প্রভাব কেমন দেখছেন?

সৌরভ: ‘এগিয়ে বাংলা’ নামের একটা প্রকল্প করেছি আমাদের ওখানে। পশ্চিম বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী করতে বললেন, রাজি না হয়ে পারিনি। প্রভাব ভালোই। আমার বেশ ভালো লাগছে। তবে প্রভাব অবশ্যই ‘দাদাগিরি’র মতো নয় (হাসি)।

* কোথায় যেন পড়েছি, আপনার মেয়ে সানা বাবার কাছে পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসে। সৌরভ গাঙ্গুলী তাহলে একজন ভালো শিক্ষকও...

সৌরভ: (হাসি) আরে, ওটা কিছু নয়। সানা আমার কাছে পড়তে চায়, কারণ আমি বকুনি দিই না। কম পড়াই। ওর মার কাছে পড়তে বসলে বেশি পড়তে হয়, আমার কাছে কম, এই তো! যখন সে বলে, বাবা আর পড়তে ইচ্ছা করছে না; ব্যস, আমিও বলি, ঠিক আছে, আর পড়তে হবে না।
Md. Habibur Rahman
Officer, Finance & Accounts
Daffodil International University (DIU)
Corporate Office, Daffodil Family
Phone: +88 02 9138234-5 (Ext: 140)
Cell: 01847-140060, 01812-588460

Offline Shakil Ahmad

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 374
  • Test
    • View Profile
True!!!!!!!!!!!

Offline habib

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 112
  • Test
    • View Profile
Thanks.....
Md. Habibur Rahman
Officer, Finance & Accounts
Daffodil International University (DIU)
Corporate Office, Daffodil Family
Phone: +88 02 9138234-5 (Ext: 140)
Cell: 01847-140060, 01812-588460

Offline zafrin.eng

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 390
  • Test
    • View Profile
Good to know these  :)