Health Tips > Brain

STROKE (স্ট্রোক) সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য

(1/1)

Ishtiaque Ahmad:
বর্তমানে STROKE (স্ট্রোক) এর মাধ্যমে আমাদের সমাজে অনেকে খুব অল্প বয়সে মারা যাচ্ছে। তাই আমাদের যদি কিছু ব্যাপারে জানা থাকে তাহলে হয়তো STROKE (স্ট্রোক) নামক মরণ সমস্যা থেকে কাউকে না কাউকে তার জীবন ফিরে পেতে পারে। তাহলে আসুন STROKE (স্ট্রোক) সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় জানি।

স্ট্রোক চেনার লক্ষণ: অনেকে আছে যারা STROKE (স্ট্রোক) করার পরও বুঝতে পারেনা কিন্তু ধীরে ধীরে ২-৩ ঘন্টা পর প্রভাবিত হয় ও দীর্ঘ সময় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার জন্য মারা যেতে পারে। STROKE (স্ট্রোক) হওয়া ব্যাক্তি চেনার উপায়:
১। হাত-পা অবশ বা মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া
২। কথা জড়িয়ে যাওয়া
৩। মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যথা
৪। হঠাৎ চোখে সমস্যা হওয়া
৫। কন্ঠস্বর বের না হওয়া
৬। হঠাৎ করে কোন কিছু ভুলে যাওয়া।

করণীয়: মনে রাখুন শব্দটির প্রথম ৩টি অক্ষরঃ S, T এবং R. আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো। STROKE (স্ট্রোক) হয়েছে এমন কিছু বুঝতে পারলে সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ
S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।

সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)

মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version