দুগ্ধপানপকারী বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে গেলে তারা সারা দিনরাত কাঁদে লক্ষ্য করেছেন কি?
কারনটা কিন্তু মজার। আপনি আমি যেমন নাক বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নেই বাচ্চারা কিন্তু মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে জানে না। তাই তারা কান্নাকাটি করে এতে মুখ দিয়ে কিছুটা শ্বাস প্রশ্বাসের কাজ হয়। এতে কি তার শরীরের সবটুকু অক্সিজেনের চাহিদা পূরন হয়। উত্তর না। তাহলে ভাবুন একটা বাচ্চার যদি সর্দি সারারাত থাকে তবে বাচ্চাটা অক্সিজেন এর চাহিদা পূরন না হওয়ার কারনে হাইপোক্সিয়া (অক্সিজেনের অভাবে হয়) কিছু নিউরন নষ্ট হবে। আপনি ব্রেন বা মেধা যাই বলুন না কেন এগুলো তো নিউরন এর সমষ্টি ভিন্ন কিছু নয়। আর সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে নিউরন একবার নষ্ট হলে তা আর তৈরী হয় না। এর ফলে মূল্যবান নিউরন হারিয়ে আপনার বাচ্চা হারাচ্ছে মেধা। তাই পড়া না পারার জন্য মারধোর করার বা ১ রোল না হওয়ার জন্য বকুনি দেওয়ার আগে আপনার বাবুটার মেধা আপনি কমিয়েছেন কিনা এটাও ভেবে দেখুন। তাহলে কি করবেন? একমাত্র উপায় হলো বাচ্চার নাক বন্ধ হতে না দেয়া। কিভাবে? ন্যাজাল ডিকনজেষ্ট্যান্ট (এন্টাজল আকারে প্রচলিত) দিয়ে? না এতে আপনার বাচ্চা এই ড্রাগের প্রতি এডিকটেড হয়ে যেতে পারে। বেটার হচ্ছে কোন ড্রাগ ব্যবহার না করে নরমাল স্যালাইন এক ফোঁটা করে উভয় নাকে দিয়ে দেওয়া। এটা নরসল ড্রপ নামে ৫ থেকে ৭ টাকায় পাওয়া যায়। আর যদি আলসেমি করে দোকানে কিনতে যেতে ইচ্ছে না করে তবে এক ফোটা করে বিশুদ্ধ পানি উভয় নাকে দিয়ে দিন। বাচ্চার নাক সবসময় খোলা থাকবে দেখবেন অযথা কাঁদবে না আর মেধা হবে শাণিত তারপর বাচ্চা পড়া না পারলে একটু বকুনি দিতেই পারেন।
