কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিলুপ্ত প্রায় লাল কাকড়া
একসময় কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা সৈকতে নেমে দেখতে পেতো লাখ লাখ টকটকে লাল সেই কাকরা। মনে হতো সৈকত রাজ্যে বেড়াতে আসা অতিথিদের লাল গালিচা সংবর্ধনায় সম্মান ও আনন্দ দিচ্ছে সৌন্দর্য্যের প্রতিক প্রাকৃতিক জীব লাল কাকরার দল। সম্প্রতি অর্থলোভীদের ও পরিবেশ বিরোধী কিছু ব্যবসায়ীরা অর্থের বিনিময়ে সৈকতে ব্যবসার উদ্যোশ্যে ঘোড়া ও বীচ বাইকের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের পাশাপাশি তাদের হত্যাসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড শুরু করায় হারিয়ে গেছে অপূর্ব সুন্দর লাল কাকড়া।
সমুদ্র সৈকতের হিমছড়িস্থ সেনা ক্যাম্প, ইনানী ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে অদুরে উত্তরের জনশূণ্য এলাকায় কিছু সংখ্যাক লাল কাকড়া দেখা যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়া জানিয়েছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সৈকতে পর্যটকদের অবাধে বিচরণ এবং বীচ বাইক, ঘোড়াসহ মোটক সাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন চালানোর ফলে জীব বৈচিত্র হারিয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পর্যটকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সৈকতের জীব বৈচিত্র রক্ষায় নানা রকম প্রচারণা মেনে চলে পর্যটকদের অবাধে বিচরণ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ওসব জীব প্রাণীর চারণ ভূমি রক্ষা নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।