বিশ্বকাপে লুইস সুয়ারেজের কামড়কাণ্ডের পর বছর দেড়েকের বেশি পেরিয়ে গেছে। এবার ইংল্যান্ডে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন ডিয়েগো কস্তা? প্রশ্নবোধক চিহ্নটা দেওয়ার কারণ কস্তা আসলেই কামড়ে দিয়েছেন কি না ঠিক স্পষ্ট নয়। ম্যাচ শেষে চেলসি স্ট্রাইকারের দাবি, এভারটনের গ্যারেথ ব্যারিকে মোটেই কামড়ে দেননি।
কাল এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ৮৪ মিনিটের ঘটনা। এভারটনের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে চেলসি। একটা ফাউল নিয়ে হঠাৎ ঠোকাঠুকি হয়ে গেল কস্তা-ব্যারির। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে হঠাৎ কস্তা তাঁর মুখটা নিয়ে এলেন ব্যারির ঘাড়ে। রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, কস্তা কামড় দেওয়ারই চেষ্টা করেছেন। এর আগে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন কস্তা। ওই ধাক্কাধাক্কির জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এর আগে দুবার নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়লেও চেলসির হয়ে প্রথমবারের মতো লাল কার্ড দেখতে হলো বিতর্কিত এই স্ট্রাইকারকে। তবে যদি কামড়ের অভিযোগটা প্রমাণিত হয়, তাহলে শাস্তিটা আরও বাড়তে পারে।
ম্যাচ শেষে চেলসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কস্তা মেজাজ হারিয়ে ফেলার জন্য অনুতপ্ত, তাই তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু ব্যারিকে কামড়ে দেননি বলেই তাঁর দাবি। চেলসি কোচ গাস হিডিঙ্ক তো ব্যাপারটা হাসিঠাট্টা করেই উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ‘আরে এসব নিয়ে (কস্তার রাগ সামলানো) তো হলিউডের ছবিই আছে। সেটা একসঙ্গে দেখা যেতে পারে।’ তবে হিডিঙ্কের দাবি, কস্তার ওই ঘটনা তাঁর চোখে পড়েনি, ‘আমি ওই ঘটনা দেখিনি। তবে কোনো রায় দেওয়া ছাড়া আমি এটুকু বলতে পারি, ওকেও (কস্তাকে) উত্তেজিত করে তোলার একটা চেষ্টা করা হয়েছিল।’
কাকতালীয়ই বটে, কস্তা বেরিয়ে যাওয়ার একটু পর ব্যারিও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। তবে চেলসির তাতে লাভ হয়নি, শেষ পর্যন্ত এফএ কাপের শেষ আটের ম্যাচটা হেরে গেছে তারা ২-০ গোলেই।