বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরন্তন হাহাকারের গল্প লেখতে গেলে সবার আগে আসবে বোধহয় ওপেনিং জুটির কথা। এই একটা জায়গায় কখনোই শক্তি খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু সেই দিন এখন আর নেই। তামিম ও সৌম্যর ব্যাটে ঘুচে হাহাকার। নায়ক হয়ে উঠছেন সৌম্য। তামিম তো নায়ক হয়ে আছেন অনেক দিন ধরেই। ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে নিজের নায়কোচিত ভূমিকাটা আরো স্পষ্ট করেছেন তামিম। সেই তামিমের কাছে নায়ক কে জানেন? সাব্বির!
tamim praised sabbir for his good batting
ওমানের বিপক্ষে ৫৪ রানের সহজ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাব্বিরের ভূয়সী প্রশংসা করেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে আমরা রান পাইনি। শট খেলা কষ্টকর ছিলো। এ কারণে বেড়ে গিয়েছিলো চাপ। কিন্তু সাব্বির উইকেটে এসে দ্রুত রান করতে থাকে। ফলে আমার উপর থেকে চাপ নেমে যায়। সে দারুণ ব্যাটিং করেছে।’
সাব্বির এ দিন ২৬ বলে ৪৪ রান করেন। আউট হন দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড। যে বলটিতে তিনি আউট হন, তা খুবই মৃদুভাবে আঘাত করে সাব্বিরের স্ট্যাম্পে। বল উড়ে কিপারের কাছে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ড পর পড়ে যায় উইকেট। ওইভাবে আউট না হলে হয়তো আরো বড় রানই আসতো তার ব্যাট থেকে।
বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সাব্বির। তার অন্তর্ভুক্তিতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টপঅর্ডারের চেহারাই গেছে বদলে। সাব্বির আছেন বলেই বাংলাদেশের টপঅর্ডারকে নির্দ্বিধায় আক্রমণাত্মক টপঅর্ডার বলা যায়।
তামিমের মতো সাব্বিরকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মাশরাফিও। ওমানের বিপক্ষে জয়ের পর ম্যাচসেরা তামিমের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন তিনিও। এ সময় সামনে আসে সাব্বিরের প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সাব্বিরকে টপঅর্ডারে আনার পিছনে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিলো, তা ঠিকঠাক সফল হচ্ছে। সাব্বির জানে ওকে কী করতে হবে।