২০১৫ সালের সেরা খেলোয়াড়দের নানা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। তাদের বিচারে ২০১৫ সালে সেরা অভিষিক্ত খেলোয়াড় হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
mustafiz won debutante of the year award
২০১৫ সালের ১৮ জুন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুস্তাফিজেই। অভিষেকই ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। পরের ম্যাচে নেন ছয় উইকেট। তিন ম্যাচের ওই সিরিজে মোট ১৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান।
ওই সিরিজে রোহিত শর্মাকে তিনবার আউট করেন তিনি। সুরেশ রায়না, অজিঙ্কা রাহানে, এমএস ধোনিরাও ছিলেন মুস্তাফিজের শিকার। সব মিলিয়ে নিজের অভিষেকেই বিশ্ব কাঁপিয়ে দেন সাতক্ষীরার এই তরুণ। চোখে-মুখে তখনও তার শৈশবের ছাপ থাকলেও বোলিংয়ে বুঝিয়ে দেন, বিশেষ কিছু করতেই তার আবির্ভাব।
মুস্তাফিজের আবির্ভাবের গল্প বলতে গেলে কেবল উইকেট শিকারের কথা বলে অবশ্য কিছুই বলা হয় না। এখানে জরুরি ভিত্তিতে বলা প্রয়োজন তার বোলিং বৈচিত্রের কথা। মুস্তাফিজ সবচেয়ে বেশি আলোড় তুলেছেন তার অফকাটার দিয়ে।
আধুনিক ক্রিকেটে সবচেয়ে ভালো অফকাটার পারা একমাত্র বোলার তিনিই। এ ছাড়া সুইং ও বাঁহাতি পেসারদের মৌলিক ডেলিভারিগুলো তো আছেই।
২০১৫ সালে ৩০ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নেয়া বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজের স্ট্রাইকরেটই সবচেয়ে ভালো। ২০১৫ সালে অভিষেক হওয়াদের মধ্যে ক্রিকইনফোর পুরস্কার তালিকায় আরো ছিলেন ক্যাগিসো রাবাদা, তিনি এখন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নিয়মিত মুখ। এছাড়া শ্রীলঙ্কার দুশমন্থ চামিরা ও ইংল্যান্ডের মার্ক উডও ছিলেন তালিকায়। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে মুস্তাফিজ জিতে নেন পুরস্কার।
ক্রিকইনফোর পুরস্কার জেতার পিছনে ভূমিকা রেখে থাকতে পারে মুস্তাফিজ যাদের শিকার করেছেন, তাদের নামগুলোও। রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না ও কুইনটন ডি ককের মতো ব্যাটসম্যানদের তিনবার করে আউট করেছেন মুস্তাফিজ। তার বলে উইকেট বিলিয়ে দিতে হয়েছে জেপি ডুমিনি, রেজিস চাকাভা, শহিদ আফ্রিদি, শেন উইলিয়ামস, হাশিম আমলা ও মোহাম্মদ হাফিজরাও।