গরমে শিশুর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এ সময় শিশুর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গোসল ও পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মায়েদের বিশেষ যত্নবান হতে হবে। গরমে শিশুরা বড়দের তুলনায় অনেক বেশি ঘেমে যায়। এ সময় মরসুমজনিত নানা রকম ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়, তাই শিশুর প্রতি বিশেষ যত্নবান হলে ত্বকের অনেক সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব।
প্রথমেই আসা যাক খাওয়া-দাওয়া প্রসঙ্গে : গরমে শিশুকে দিতে হবে প্রচুর পানীয় খাবার। ঘরে তৈরি নানারকম ফলের জুস, লেবুর সরবত, ডাবের পানি শিশুর জন্য ভীষণ উপকারী। এতে করে ঘেমে গিয়ে যে পরিমাণ পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায় তার ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়, এই সঙ্গে দিতে হবে শিশুর স্বাভাবিক খাবার। অত্যধিক গরমেও অনেক সময় শিশুরা খেতে চায় না। ঘেমে গেলে শিশুর কাপড় পাল্টে দিন। ঘেমে যাওয়া শরীর পাতলা নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন। এ সময় শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান, গরমকালে অত্যধিক সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
শিশুর কোমল ত্বকের ওপর এক ধরনের সাহায্যকারী ব্যাক্টেরিয়া থাকে তা অত্যধিক সাবান ব্যবহার করে নষ্ট না করাই ভালো। কারণ, এরা নানা রকম সংক্রমণ থেকে শিশুর ত্বককে রক্ষা করে। সব সময় শিশুকে হালকা সুতির জামা পরাবেন, এমনকি বেড়াতে যাওয়ার সময়ও শিশু আরাম পাবে এমন পোশাক নির্বাচন করুন।
আজকাল বেশিরভাগ মা বেড়াতে যাওয়ার সময় শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে থাকেন। এই ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শিশুর ত্বকের যে স্থানে সবচেয়ে বেশি র্যাশ বা ফুসকুড়ি হয় তা হলো ডায়াপারে আবৃত স্থান। তাই ঘন ঘন ডায়াপার বদলে দেবেন, দীর্ঘক্ষণ ধরে এক ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। কাপড়ের ডায়াপার ব্যবহার করলে সেটাকে প্লাস্টিকের প্যান্ট দিয়ে ঢাকবেন না। যদি ডায়াপার আবৃত স্থানটি লাল হয়, ডায়াপার পরানো বন্ধ করবেন। ডায়াপার আবৃত স্থানটি যথাসম্ভব শুকনো রাখতে চেষ্টা করবেন কোমল স্পর্শ, নরম আচ্ছাদন Diaper rash সেরে উঠতে সাহায্য করে।
গরমে অনেক মা-ই শিশুকে ঘন ঘন পাউডার লাগিয়ে দেন, এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেক সময় পাউডার শিশুর কোমল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। গরমকালে অধিক তেল ব্যবহার করাও ঠিক নয়। কারণ, এতে শিশুরা আরও বেশি ঘেমে যায়। অহেতুক শিশুকে কৃত্রিম কসমেটিক বা পোশাক পরানো উচিত নয় এতে করে স্পর্শজনিত নানারকম চর্মরোগ হতে পারে। তাই এই গরমে শিশুর সঠিক যত্ন নিন, আপনার শিশুকে সুস্থ রাখুন।