দ্বৈত ক্যামেরা প্রযুক্তিসংবলিত নতুন একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে এনেছে হুয়াওয়ে। পি৯ মডেলের এই ফোনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবি তোলার পরেও ছবির ফোকাস পুনরায় ঠিকঠাক করা যাবে। ভিডিওতে অবশ্য সেই সুবিধা থাকছে না।
চীনের এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি জার্মানির ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লাইকার সঙ্গে মিলিতভাবে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই উদ্ভাবন হুয়াওয়েকে আরও সমাদৃত ব্র্যান্ডে পরিণত করবে এবং এর বাজারমূল্য আরও বাড়বে।
বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) মতে, গত বছর ১০ কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি করে আগের বছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি মুনাফা করেছে হুয়াওয়ে। যেকোনো বড় ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে এই মুনাফার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ এবং এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি বাজারমূল্যের দিক দিয়ে তৃতীয় সেরা স্থানে উঠে আসে। অ্যাপল বিক্রি করেছিল এই পরিমাণের দ্বিগুণ এবং স্যামসাং বিক্রি করেছিল তিন গুণেরও বেশি মোবাইল সেট।প্রযুক্তি উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান আইএইচএসের ইয়ান ফগ বলেছেন, ‘ভালো মানের একটি স্মার্টফোনের নির্ধারক বিষয়গুলোর মধ্যে ক্যামেরা একটি এবং আলোকচিত্রের মান উন্নয়নের অনেক সুযোগ এখনো আছে। তা ছাড়া এমন অনেক কিছু করার আছে, যা মোবাইলের পেছনে একটি সেন্সর দিয়ে করা সম্ভব নয়, দুটি সেন্সর দিয়ে করতে হয়।’
হুয়াওয়ে পি৯-এর ক্যামেরা দুটি পেছনের দুটি সেন্সরের তথ্য একত্র করে একটি ১২ মেগাপিক্সেল মানের ছবি তৈরি করে। সেন্সরের একটিতে লাল, সবুজ ও নীল বর্ণের তথ্য ধারণ করা হয়, আরেকটি দিয়ে একবর্ণের ছবির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই প্রযুক্তিতে আরও বেশি আলো লেন্সে ফেলা যায় বলে অপেক্ষাকৃত স্বল্প আলোর ছবিও ভালো তোলা যায় এবং যে ছবিটি তৈরি হয় সেটি হয় আরও উন্নত মানের। ছবি তোলার পর ফোকাস পুনরায় ঠিক করে দেওয়ার প্রযুক্তি এবারই নতুন নয়। নকিয়া ও এইচটিসিও এর আগে ভিন্ন উপায়ে কাজটি করেছিল।
এই স্মার্টফোনে আরও থাকছে ১০৮০ পিক্সেলের ৫ দশমিক ২ ইঞ্চি পর্দা, অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড যুক্ত করার সুযোগ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং কিরিন-৯৫৫ প্রসেসর। নতুন এই সেটটির দাম পড়বে মানভেদে ৫৯৯ থেকে ৬৪৯ ইউরো। হুয়াওয়ে বড় ব্যাটারির ৫ দশমিক ৫ ইঞ্চির একটি বড় পি৯ প্লাস সেটও বাজারে আনছে, যার দাম পড়বে ৭৪৯ ইউরো।