আগের দিনই ‘পানামা পেপারস’-এ নাম এসেছে তাঁর। আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ মাথায় নিয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা লিওনেল মেসি খেলতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অনেক বার্সেলোনা সমর্থকই। মেসি দোষী হন বা না হন, পানামা পেপারসে ধন-সম্পদ পাচারের অভিযোগ আসাটা মানসিক দিক দিয়েও তো এক ধরনের চাপ। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নেমে মেসি কাল সবকিছু দূরেই সরিয়ে রাখলেন। নিজে খেললেন, দলকে খেলালেন। তাঁর নেতৃত্বে বরাবরের মতোই দুর্দান্ত ‘এমএসএন’। মেসির সঙ্গে নেইমার দেখালেন নিজের ঝলক। গোল করার ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিলেন লুইস সুয়ারেজ। এই ত্রয়ীর নৈপুণ্যে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও বার্সেলোনা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানের স্বস্তির জয়।
অ্যাটলেটিকোর দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। যে ফার্নান্দো তোরেসের গোলে দলটি ন্যু ক্যাম্পে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল, সেই তোরেসের লালকার্ডই শেষ পর্যন্ত তাদের হারের কারণ। দশজনের দল নিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি তারা। ৬৩ ও ৭৪ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোল বার্সেলোনাকে এনে দেয় জয়।