মুস্তাফিজুর রহমান বোলিংয়ে আসার আগেই ম্যাচ প্রায় করে ফেলেছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পেসাররা। তারপরও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে দলের ৮৫ রানের জয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই বোলিং সেনসেশন।
আক্রমণে এসে বরাবরের মতোই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মুস্তাফিজ। তিন ওভারের স্পেলে প্রতি ওভারে তিনি নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ১৬ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট, যা আইপিএলে এখন পর্যন্ত তার সেরা বোলিং ফিগার।
রোববার বিশাখাপত্তনমের ড. ওয়াই এস রাজাশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে ১৬ ওভার তিন বলে ৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় মুম্বাই। মুস্তাফিজ বোলিংয়ে আসার আগে ৯ ওভারে ৫০ রান তুলতেই ফিরে যায় দলটির প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এদিন একটু দেরিতে বোলিংয়ে আনেন মুস্তাফিজকে। নিজের প্রথম বলেই অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে উইকেটরক্ষক নামান ওঝার ক্যাচে পরিণত করে উইকেট-শিকার উৎসবে যোগ দেন তিনি।
পরের ওভারে ফিরে আবার প্রথম বলে আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। এবার ফিরিয়ে দেন টিম সাউদিকে। হার্দিকের মতো সাউদিও উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হন। নিজের তৃতীয় ওভারে স্লোয়ার বলে মিচেল ম্যাকক্লেনগানকে ফিরিয়ে দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান মুস্তাফিজ।
এরপর আর বেশিদূর এগোয়নি মুম্বাইয়ের ইনিংস।
অভিজ্ঞ আশিস নেহরা ৩ উইকেট নেন ১৫ রানে।
এর আগে ওয়ার্নার সঙ্গে ধাওয়ানের ৮৫ রানের উদ্বোধনী জুটি হায়দরাবাদকে ভালো সূচনা এনে দেয়। ৬ রানের মধ্যে ওয়ার্নার (৩৩ বলে ৪৮) ও কেন উইলিয়ামসনের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ।
তবে যুবরাজ সিংয়ের (২৩ বলে ৩৯) সঙ্গে ধাওয়ানের আরেকটি ৮৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ গড়ে হায়দরাবাদ। ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন ধাওয়ান। তার ৫৭ বলের ইনিংসটি গড়া ১০টি চার ও একটি ছক্কায়।